জাতীয়: নেদারল্যান্ডসের আম মেলায় যাওয়া হলো না আমচাষি সোহেল রানার। জাল ভিসার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠায় কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।।
সোহেল রানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর কিছুদিন চাকরি করেন। পরে চাকরি ছেড়ে ২০১৫ সালে শুরু করেন আম চাষ। এখন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে তার আম। ২০২১ সালে কৃষি উদ্যোক্তা হিসাবে ‘জাতীয় যুব পুরস্কার’ পান সোহেল রানা।
সোহেল রানা বলেন, আম রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে নেদারল্যান্ডসের আম মেলায় যেতে চেয়েছিলাম। সেখানে আট দিন থাকার কথা ছিল। ভিসা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের জিআরসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ যাচাই-বাছাই করে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছিল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বিমানে ওঠার আগে কাতার এয়ারওয়েজের লোকজন অভিযোগ করেন যে, আমার ভিসা জাল। ভিসা জালের কথা শুনে আমি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ছুটে আসি। তারা পুনরায় যাচাই-বাছাই করে আমাকে ভ্রমণের অনুমতি দিতে কাতার এয়ারওয়েজকে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা না শুনে আমাকে ফেরত পাঠায়।
সোহেল আরও বলেন, ভিসার শেষে দুটি ডিজিট ২২ লেখা। এটি কিছুটা অস্পষ্ট থাকায় তারা বলছেন, আমার ভিসা জাল। কিন্তু পুলিশ বলছে, আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। এ বিষয়ে গত রোববার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে অভিযোগ করব।
সোহেল রানা নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা। তার আমবাগানের জমির পরিমাণ ১০৫ বিঘা। সেখানে রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আমগাছ। এ বাগান ছাড়াও জেলার পত্নীতলা উপজেলার রূপগ্রাম এলাকায় সোহেল রানার ৪০ বিঘা জমির আরেকটি আমবাগান রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |