সারাদেশ: ফেসবুকে পরিচয়। ম্যাসেঞ্জারে সম্পর্ক। এরপর ভিডিও কলে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন দুই যুবতী। সোমবার (২২ এপ্রিল) জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা পুলিশ। জানা গেছে, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের দুই শিক্ষার্থীর কয়েক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর দিনে দিনে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত আগস্ট মাসে প্রথম শিক্ষার্থী টাঙ্গাইল থেকে কিশোরগঞ্জে দ্বিতীয় শিক্ষার্থীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক গাঢ় হয়।
দুজন দুজনের বাড়িতে বেশ কয়েকবার যাতায়াত করে। জবানবন্দীতে তারা পুলিশে জানায়, গত ডিসেম্বরে তারা ভিডিও কলে বিয়ে করে। একজন বর ও একজন বউ সেজে এই বিয়ে হয়। উভয়ের বাবা-মা বিষয়টি জানার পর তাদেরকে শাসন করে। কিন্তু তারা একজনকে ছাড়া আরেকজন বাঁচবে না বলে অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবকরা উভয়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা শুরু করলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দুজন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১৮ এপ্রিল কেনাকাটার উদ্দেশ্যে টাকা নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইলে পালিয়ে আসে।
বিকালে তারা গোপালপুর পৌর শহরের হাসপাতাল রোড়ের অবসরপ্রাপ্ত মৎস অফিসার আব্দুল বারীর ফ্লাটে আশ্রয় নেয়। পরদিন স্টেডিয়াম পাড়ায় একটি কক্ষ ভাড়া করে। সেখানে প্রতিবেশীদের তারা গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। দিনরাত দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় অবস্থান করায় এবং রহস্যজনক আচরণ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। চাপের মুখে এক পর্যায়ে তাদের পরিচয় দেয়। তারা দাবি করে বিয়ে করেছে। সোমবার ভোর রাতে পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে হাজির হলে তারা একই পরিচয় দিতে থাকে তারা। তারা একজনকে ছাড়া আরেকজন বাঁচবে না বলে চিৎকার শুরু করে। পরে পুলিশ তাদেরকে নানাভাবে বুঝিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তাদেরকে বুঝিয়ে পরিবারের কাছে পাঠাতে চাইলে তারা কান্নাকাটি শুরু করে। গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল হক তৈয়ব ঘটনার সত্যতা করে জানান, অভিভাবকদের কাছে ফেরত যেতে না চাওয়ায় জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |