প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার ভিডিওকলে চিৎকার করে কথা বলছিলেন শান্তা, এরপর যা ঘটল 

ভিডিওকলে চিৎকার করে কথা বলছিলেন শান্তা, এরপর যা ঘটল 

ফরিদপুরে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত ও আলোচিত বিউটিশিয়ান শান্তা আক্তারের (৩৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড়সংলগ্ন সাজের মায়া ভবনে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

শান্তা আক্তার জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কাইয়ূম উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী নামের গ্রামের কানু মোল্যার মেয়ে। 

পুলিশ জানিয়েছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার নেপথ্যে সাবেক স্বামীর সঙ্গে কলহের কথা জানিয়েছেন কর্মচারী ও স্বজনেরা।

জানা গেছে, শহরের অনাথের মোড় এলাকায় সাজের মায়া ভবনের নিচতলায় ‘ইয়াং লাইফ বিউটিপার্লার ও লেজার সেন্টার’ নামে তার প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ২০ জনের অধিক কর্মচারী রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের খুলনা, যশোর ও ঢাকায় পাঁচটি শাখা রয়েছে।

শান্তার ভাই রাজিব মোল্যা জানান, ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকার আকিদুল ইসলাম রুমন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শান্তার বিয়ে হলেও ২০২০ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। তাদের ১৩ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। আজ ভোরে আমার ভাগনি ফোন করে জানায়, ও মারা গেছে। পরে এসে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার বোনের আর্থিক কোনো সমস্যাও ছিল না। গতকাল রাতেও মাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল।

ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহে দুই দিন প্রতিটি শাখায় অবস্থান করতেন শান্তা। দুই দিন আগে ফরিদপুরের শাখায় আসেন এবং প্রতিষ্ঠানের শয়নকক্ষে রাত যাপন করেন। এ দিন রাতে তার সঙ্গে ছিলেন লাভলী আক্তার (১৮) নামের এক নারী কর্মচারী।

সেই কর্মচারী লাভলী আক্তার বলেন, রাত ৩টা পর্যন্ত সাবেক স্বামী রুমনের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেন ম্যাম। একপর্যায়ে চিৎকার করে কথা বলতে থাকেন। আমি দৌড়ে গেলে আমাকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে আটকে দেন। এরপর সকালে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সূত্র: আরটিভি