প্রচ্ছদ জাতীয় ভারতীয় আগ্রাসনের বদলা কীভাবে নিবেন, যে পরামর্শ দিলেন পিনাকী

ভারতীয় আগ্রাসনের বদলা কীভাবে নিবেন, যে পরামর্শ দিলেন পিনাকী

জাতীয়: স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে নানাভাবে তাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে, হোক সেটা ভূ-গৌলিক বা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক। বর্তমানে বাংলাদেশের ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ভারত নির্লজ্জের মতো হস্তক্ষেপ করে, আসলে ভারত অঘোষিতভাবে বাংলাদেশকে তাদেরই একটি অঙ্গরাজ্য মনে করে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ঢুকে পড়েছে, তারা কৌশলে বাংলাদেশের শিল্পগুলোকে ধ্বংস করেছে, বিনা ফিতে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে তাদের মালামাল বহন করছে, তাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে।

এর জন্য অবশ্য বাংলাদেশের সাবেক সরকার হাসিনা দায়ী, তার আসল কারণ হলো স্বজনপ্রীতি। তবে বাংলাদেশে যেভাবে ভারতীয় দালালের উত্থান হয়েছে এবং যেভাবে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাদেশে সক্রিয় তাই সরকার চাইলেইও ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না। আর এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা পুরোপুরি দায়ী।

কিন্তু সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।

সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের নানা কার্যক্রম নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন আলোচিত পিনাকী ভট্টাচার্য। যিনি বাংলাদেশে একজন লেখক এবং অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট নামে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সর্বদা শিরোনামে থাকেন। এবার তিনি আলোচনা করেছেন হাসিনা সরকার পতনের পর ভারতীয় আগ্রাসনের বদলা কীভাবে নেয়া যায়। পিনাকী ভট্টাচার্যের দেয়া বক্তব্য গুলো অনলাইন পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো –

বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক কীভাবে ম্যানেজ করা হবে তা দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। ভারতকে ডিল করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না। হায়দারাবাদ আর কাশ্মীরের মতো খেয়ে ফেলবে। আমাদের কালেক্টিভ মেমোরিতে জাগিয়ে রাখতে হবে কীভাবে হাসিনাকে সাপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশের উপরে কীভাবে চেপে বসেছিল। আপনি ইন্ডিয়ান হাই কমিশিনারদের বাংলাদেশের পলিটিশিয়ান্দের সাথে যখন কথা বলে তখন তাদের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখবেন। তারা যেভাবে বসে কথা বলে দেখেন। এই যে দীরাইস্বমীরে দেখেন। ও তো বাংলাদেশ স্বামী হয়ে উঠেছিল।

অবশ্যই বাংলাদেশের সাবেক সরকারের ভিতরে বসবাসকারী ভারতীয় দালাল এবং মিডিয়াতে কাজ করা ভারতীয় গোয়েন্দা সদস্যদের এক এক করে বাংলাদেশের প্রশাসন এবং মিডিয়া থেকে ছাঁটাই করা , সরকার প্রধান সচিবরা যাতে স্বাধীন ভাবে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা ।

ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তার সাথে অবশ্যই ভালো সম্পর্কের দরকার আছে তবে সেটা যেন ৫০% হয় সেটার বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারের ভিতরে কোথায় কোথায় বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।

আপনি কি জানেন সারা পৃথিবী থেকে এক কোটি প্রবাসী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণ করে আর ভারত একাই সেই রেমিটেন্স থেকে ১৩ বিলিয়ন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায়, সেটা কিভাবে ? ঐ যে বাংলাদেশীরা ভারতে ভ্রমণ করে হোটেল শপিং মল আর ভারতীয় হাসপাতালগুলোতে টাকা ঢেলে আসে।

বাংলাদেশের মার্কেট গুলোতে ভারতীয় পণ্যে সয়লাব।
আমি আপনি আপনারা যদি ভারত ভ্রমণ বন্ধ করি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশীয় কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করি এবং সরকার প্রধানরা যদি সঠিক ব্যবসায়িক নীতি গ্রহণ করে তবেই দেশের টাকা দেশে রাখা সম্ভব।

শুনেছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিস আছে , অবশ্যই অনতিবিলম্বে এটি বন্ধ করতে হবে ।

বাংলাদেশে থেকে ভারত ঠিকই ট্রানজিট নিচ্ছে বিনা ফিতে কিন্তু এখনো শর্ত মোতাবেক নেপাল ভুটানের সাথে ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিচ্ছে না , এটার একটা সুরাহা করা দরকার সরকারের ।

আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশকে জাতিসংঘে যাওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। কারণ ভারত থেকে কিছু পেতে হলে সেটা আইনি ভাবেই পাওয়া যাবে, কাকুতিমিনতি করে নয়! যেমনটি হয়েছে সমুদ্র সীমা নিয়ে। বাংলাদেশ যদি জাতিসংঘে নদীর পানির হিস্যার বিষয়টি তুলে, তাহলে অবশ্যই অধিকাংশ দেশের সমর্থন বাংলাদেশ পাবে, প্রয়োজনে চীন – তুর্কিকে সাথে নেওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে। তবেই নতুন করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।