
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আমার তিন দিকে একটা রাষ্ট্র (ভারত) আছে। সেই রাষ্ট্র আমাদেরকে আধিপত্যবাদের বেষ্টনে আবদ্ধ করে রেখেছে। সে (ভারত) চায় না আমার দেশ (বাংলাদেশ) উন্নত হোক। তার তো অনেক বড় দেশ, কিন্তু সমান তালে উন্নয়ন করতে পারে না। সে তার সেভেন সিস্টারর্সকেও এখনো অনুন্নত করে রেখেছে। সেখানে এখনো তারা পাকা টয়লেট পর্যন্ত স্থাপন করতে পারেনি। আমার দেশের মাথাপিছু আয় যা, ভারতের মাথাপিছু আয় তার চেয়েও কম। কিন্তু সে বড় দেশ, তার পারমাণবিক অস্ত্র আছে। সে আধিপত্য বিস্তার করে আমার দেশকে দমিত করে রাখতে চায়।
শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে পলিটেকনিক শিবির এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম আরও বলেন, আমার ছোট দেশ, উন্নয়ন ঘটাতে সময় লাগার কথা না। অথচ সেই দেশটার শিক্ষা নষ্ট করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করা হয়েছে, কালচারাল সিস্টেমকে ধ্বংস করেছে, আমার দেশের ইকোনোমি সিস্টেমকে ধ্বংস করেছে। এগুলো ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে দেশটা যাতে কার্যকর একটা রাষ্ট্রে পরিণত হতে না পারে তার সকল বন্দোবস্ত তারা (ভারত) করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ২৪০ মিলিয়ন ডলার পাচার করে ফেলছে। অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকার উপরে। এটা কল্পনা করা যায় না। আট বছরের বাজেটের পরিমাণ সম্পদ তারা লুটপাট করেছে এই বাংলাদেশ থেকে। যদি এটা দেশের ভেতরে থাকতো, যদি ইকোনোমি হাব তৈরি করতো, যদি ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগাতো, ডিপ্লোমাদের ইনস্টিটিউটগুলোকে আরও বেশি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পরিণত করতো, এখানে সবচেয়ে মেধাবীরা যদি ভর্তি হতে পারতো, বুয়েটে পড়ার পর ৬২ শতাংশ বিদেশে চলে যায়— এই ৬২ শতাংশকে যদি দেশে রাখা যেতো, গবেষণাগার তৈরি করা যেতো, কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করা যেতো, এই দেশ চার বছরের ব্যবধানে একটি স্বাবলম্বী দেশে পরিণত হতো।
অনুষ্ঠানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিবিরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন আরমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর শহর শিবিরের সভাপতি একেএম ফরিদ উদ্দিন, জেলা কমিটির সেক্রেটারি আব্দুর রহমান প্রমুখ।









































