সারাদেশ: মৌলভীবাজার কারাগারে বিজন চন্দ্র শীল (৩৫) নামের এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অসুস্থ হয়ে এই কয়েদির মৃত্যু হয় বলে জেলা কারাগার সূত্র জানিয়েছে। জানাযায়, বিজন শীল ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। রোববার সে অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর ১ টা ২১ মিনিটের সময় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগার সূত্রে জানাযায়, বিজন শীল কুলাউড়া থানার জিআর-৩৯৭/২০০৩ নং- মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী। গত ৩০ জানুয়ারি সে কারাগারে আসে। এক মারামারির মামলায় ৫ বছরের সাজা হয়েছিল তার। বিজন শীলের ভাই চন্দন শীল বলেন, বিজনের জন্য গত ১৫ দিন আগে আমি এসে ঔষধ দিয়ে যাই। গত ২ দিন আগে জেল থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ভাই (বিজন) অসুস্থ। তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্বের কাগজপত্র নিয়ে আসতে।
তিনি বলেন, আজ সকালে পূর্বের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় দেখতে পাই একটি গাড়িতে লাশের মতো এক ব্যাক্তিকে নিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নেই সে আমার ভাই কিনা। তখন জেল থেকে জানানো হয়, সে আমার ভাই নয়। পরে বেলা ১ টার সময় আমাকে জেলের ভিতর নিয়ে বলা হয়, আমার ভাই হাসপাতালে। এরপর মৃত্যুর খবর পাই। মৌলভীবাজার জেল সুপার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, বিজয় শীল প্যারালাইসিস রুগী ছিল। তার পরিবারের লোক তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বিজন তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে হেঁটে যাচ্ছিল। সে সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তবে সে রাস্তায় নাকি হাসপাতালে মারা যায় বলতে পারবো না। এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা জানান, সুরত হাল রিপোর্ট তৈরির সময় বিজন শীলের শরীরে ২ টি কাল দাগ পাওয়া গেছে। তার চোখ ফুলা ছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকিটা বুঝা যাবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |