সারাদেশ: ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কারণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার খবর প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। এসব সমালোচনার মধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে তারা বলেছে, চাকরি হারানো খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই।সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব কমিউনিকেশন্স শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে আসিফ মাহতাব কালবেলাকে বলেন, তারা বিজ্ঞপ্তিতে আসল ঘটনাই বলেনি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নিয়ম হলো- কয়েকটি ক্লাস করানোর পর চুক্তি করে। আমি এরই মধ্যে একটি ক্লাস করিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, সেটি সবার বোঝার কথা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমি বাচ্চাদের পক্ষ নিয়েই কথাগুলো বলেছি যে, বাচ্চারা ভালো কিছু শিখছে না। কিন্তু, ব্র্যাক যেই সিদ্ধান্ত নিল, সেটি অনৈতিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই ট্রান্সজেন্ডার নীতি প্রচারে অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগ ছিল। তাদের এমন সিদ্ধান্তে সেটি এবার প্রমাণ হলো। এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত নই, তাই কোনো পদক্ষেপের কথা ভাবছি না।
ব্র্যাকের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে। এর আগে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে চাকরি খোয়ান শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |