
নীলক্ষেতে ব্যালটপেপার ছাপানোর তথ্য ছাত্রদলের নিকট নির্বাচনের ২দিন পূর্বেই ছিলো। তাহলে তারা এই তথ্য পূর্বে প্রকাশ করেনি কেন? এনিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন নেটিজনেরা। যা হুবহু তুলে ধরা হলো:
ডাকসু নির্বাচনের ব্যালটপেপার ছাপানোর জন্য কেরানিগঞ্জের যেই প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার দেয়া হয়েছিলো, বিএনপিপন্থী সাদাদলের শিক্ষকগণের সহযোগিতায় সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নীলক্ষেতে অতিরিক্ত ব্যালটপেপার ছাপানোর উদ্যাগ নেয়া হয়।
নির্বাচনের সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে অতিরিক্ত ব্যালটপেপার সরবরাহ করা হয়েছিলো, কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভিতরে প্রচন্ড যাচাই- বাছাই ও সিসিটিভি ফুটেজ চলমান থাকায় কেউ অতিরিক্ত ভোট দিতে পারেনি। ফলে তাদের পূর্ব কল্পনা নাকচ হয়ে যায়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছাত্রদলের দাবি- নীলক্ষেতে ব্যালটপেপার ছাপানোর তথ্য ছাত্রদলের নিকট নির্বাচনের ২দিন পূর্বেই ছিলো। তাহলে তারা এই তথ্য পূর্বে প্রকাশ করেনি কেন?
কারণ, তখন প্রকাশ করলে নীলক্ষেতে ব্যালটপেপার ছাপানোর ষড়যন্ত্র এবং তাদের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যেতো। তারা জানত যে, ভোট সুষ্ঠু হবে এবং ডাহা ফেল হবে, তাই ফলাফলকে বিতর্কিত করতে এই চাল চালাবে।
তাই ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলকে বিতর্কিত করতে দুই সপ্তাহ পর এই নাটক করল।
বিএনপি ডাকসু ফলাফলকে বিতর্কিত দেখানোটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজনৈতিক এজেন্ডা গ্রহণ করেছে। যেহেতু ডাকসুতে শিবির বিজয়ী হওয়ায় জনমানষে গুঞ্জন শুরু হয়েছে জামাত হয়ত ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই দুই সপ্তাহ পর নাটক করেই সীমাবদ্ধ থাকে নি, সাদা দলের শিক্ষকদের মাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করিয়েছে।
এমনকি সাদা দলের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনঃনির্বাচনের মত দুঃসাহসিক দাবি জানিয়েছে। অথচ এই ষড়যন্ত্রকান্ডে তারা নিজেরাই জড়িত!
ডাকসু পরবর্তী ছাত্রদলের রাজনৈতিক পলিসি হচ্ছে, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দেশব্যাপী প্রোপাগান্ডা- গুজব ছড়ানো। কিন্তু তারা এতেও ব্যর্থ হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ফলাফল নিয়ে ষড়যন্ত্র নাটক করতে গিয়ে উল্টো ট্রলের শিকার হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা এসব নাটকে বিশ্বাস করছে না।
এদিকে নীলক্ষেত কান্ডে সাদা দলের শিক্ষকরাই জড়িত, এটা প্রকাশিত হয়ে গেছে। অনেক নেটিজেন “নীলক্ষেতের আবিদ – হামীম – মায়েদ পরিষদ” বলেও সমালোচনা করছে।
নীলক্ষেতে ব্যালটপেপার ছাপানোকান্ড নিয়ে ছাত্রদল যত হাউকাউ করবে, ততই তাদের নোংরামির ইতিহাস প্রকাশ হতে থাকবে। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেডকে যতই অসম্মান করবে, ঢাবি ক্যাম্পাসে তাদের নিজেদের রাজনৈতিক গ্রাউন্ড ততই কমতে থাকবে।
ছাত্রদল যদি শিক্ষার্থীদের রায়কে সম্মান দিতে না জানে, শিক্ষক আর প্রশাসনের মাধ্যমে যতই ষড়যন্ত্র করুক, শিক্ষার্থীরা তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।
তথ্যপ্রাপ্তি: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র মতে “কবিয়াল বাঙালি” এর লেখা, DSSP DU টিমের প্রতিবেদন।