
গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের অনুসন্ধানীমুলক তৎপরতায় ব্যাংক কার্ড জালিয়াত চক্রের এক সদস্যকে সোমবার আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা উস্তার আলী, গ্রাম নগর, ঢাকাদক্ষিণ, থানা গোলাপগঞ্জ।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামের আব্দুল মালিক (৭০)-এর উত্তরা ব্যাংকের একাউন্ট থেকে কার্ড ব্যবহার করে গত ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার থানার দুইটি বুথ থেকে পরপর ১ লাখ ১ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর ছেলে হোসেন রেজা গোলাপগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ আলমের দিক নির্দেশনায় গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফের তত্ত্বাবধায়নে এসআই আনন্দ চন্দ্রকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সঙ্গে এএসআই রফিকুল ইসলাম (রফিক) ও এএসআই ওয়ালিদ যৌথভাবে কার্যক্রম শুরু করেন।
তদন্তে পুলিশ ব্যাংক ও বিভিন্ন স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কার্ড জালিয়াত চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে ঢাকাদক্ষিণ উত্তরা ব্যাংকের সামন থেকে অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেন (৩৫) কে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত আসামীকে গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য সহযোগীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে। এছাড়া তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়, যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান।
২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আটক আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামী আনোয়ার হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনন্দ চন্দ্র জানান, সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আটক আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, বিভিন্ন সময় ব্যাংকের সামনে থেকে বা বিভিন্ন স্থান থেকে সুক্ষভাবে নারী ও বয়োবৃদ্ধদের টার্গেট করে ব্যাংক কার্ড ও বিকাশ নিয়ে যে সকল ঘটনা ঘটেছে এই চক্র জড়িত বলে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারা পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে পুরো চক্রের রহস্য উন্মোচনের দাবি জানান।
পুলিশ আরও জানায়, একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির কার্ড ব্যবহার করে অত্যন্ত সুক্ষভাবে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ওসি গোলাপগঞ্জ থানা তিনজন কর্মকর্তাকে অভিযানের দায়িত্ব দেন। অভিযানের ফলেই চক্রের এক সদস্যকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে আটক করলে গোলাপগঞ্জ থানার বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের থেকে কার্ড ও বিকাশ জালিয়াতীর রহস্য উন্মোচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।











































