প্রচ্ছদ হেড লাইন বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে যা জানালেন খানাসের ম্যানেজার (ভিডিও)

বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে যা জানালেন খানাসের ম্যানেজার (ভিডিও)

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্তত ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। যে ভবনে আগুন লেগেছিল সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। এর মধ্যে ছিল খানাস রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তারা। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খানাসের ম্যানেজার মহসিন হোসেন সরকার বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম। তবে ওই সময় আমিসহ কাচ্চি ভাই ও আরেকটি রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তা আমরা নিচে চা খেতে নেমেছিলাম। হঠাৎ শুনি চুমুক রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। জানতে পারি আগুন সে সময় অল্প পরিমাণেই ছিল। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। পরে আমাদের স্টাফ এবং অতিথিদের জানিয়ে দেয়া হয় তারা যেনো ভবনের উপরের দিকে চলে যায়। কারণ যেহেতু নিচে আগুন লেগেছে তাই ভবন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ কম ছিল।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, চুমুক রেস্টুরেন্টের রান্নাঘর থেকে আগুনটি লেগেছে। ওই রেস্টুরেন্টটি ছোট ছিল। বসার জায়গা আর রান্নাঘর খুব কাছাকাছি। সেখান থেকে আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। এরপরই আগুন বড় আকার ধারণ করে। তবে আমরা তখন বাহিরে থাকার কারণে ভেতরে কিসের বিস্ফোরণ হয়েছে তা বলতে পারি না। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর চুমুক রেস্টুরেন্ট ও খানাসের সবাই বের হয়ে ভবনের ওপরের দিকে উঠে যায়। কারণ নিচে নামার সুযোগ ছিল না। তবে কয়েকজন নিচে নেমে যায়। এদের মধ্যে আমার রেস্টুরেন্টের ২জন কর্মী আহত হয়েছেন। একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আরেকজন বেসরকারি হাসপাতালে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।