
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে অনেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা নিয়ে সমালোচনাও করছেন। অবশেষে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
এদিন সন্ধ্যায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাওছার মাহমুদ ওই ঘটনার বেশ কিছু তথ্য লিখিত আকারে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি লেখেন, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত ১৪ নভেম্বরের। ওই দিন সৌদি আরব হতে ৭৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক আউট পাস নিয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট যোগে ঢাকায় আসেন। ওই আউট পাস যাত্রীরা তাদের ইমিগ্রেশনসহ অফিশিয়াল কার্যক্রম শেষ করে আগমনী-১ নম্বর বেল্ট এলাকা থেকে তাদের ব্যাগেজ সংগ্রহ করার সময় তারা দেখেন, অধিকাংশ ব্যাগেজ কাটা এবং ব্যাগেজের ভিতর মালামাল নেই। এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা ভিডিও রেকর্ডিংসহ সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স স্টাফের ওপর চড়াও হন।
জানা গেছে, উক্ত আউট পাস যাত্রীদের সৌদি আরবে বিভিন্ন কারণে আটক থাকার পর সৌদি ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থাপনায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ET-618 ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে আদ্দিস আবাবা হয়ে দেশে পাঠানো হয়।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বিগত কয়েকবার এরূপ ব্যাগেজের মালামাল মিসিং এর ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে এয়ারলাইনস কর্তৃক সৌদি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
জানা যায়, মূলত আউট পাস ব্যক্তিদের ব্যাগেজ মাথাপিছু গড়ে ১৫ কেজি হিসেবে সবার মালামাল একত্র করে এয়ারলাইন্সে বুকিং করা হয়। সেক্ষেত্রে, এয়ারলাইন্স ব্যাগেজের ভিতর নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালামাল নিশ্চিত করতে পারে না। পাশাপাশি সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক অনেকের মালামাল জব্দ করা হয় যার তালিকা এয়ারলাইনসের কাছে দেয়া হয় না। ফলে উক্ত ব্যাগেজসমূহ দেশে আসার পর এরূপ পরিস্থতির সৃষ্টি হয়।












































