প্রচ্ছদ জাতীয় বিদেশে নিজ দেশের মিশনগুলোতে চিঠি, যা জানতে চাইল বাংলাদেশ

বিদেশে নিজ দেশের মিশনগুলোতে চিঠি, যা জানতে চাইল বাংলাদেশ

Oplus_131072

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশ। আন্দোলন ও সহিংসতা চলাকালীন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কেন এবং কারা বিক্ষোভ করেছেন, এসব জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশে বাংলাদেশ মিশনের আশপাশে বিক্ষোভ হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।

তিনি বলেন, ‘এত দিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’

মাসুদ বিন মোমেন জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি বাংলাদেশ মিশনগুলোয় অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠিয়েছে। দূতাবাসগুলোর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার থেকে মূল যোগাযোগ বন্ধ ছিল (ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায়)। দিল্লির মাধ্যমে বা বিভিন্ন জায়গা হয়ে মিশনগুলোকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, দেশের শেষ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মিশনগুলোকে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে। মিশনগুলোর প্রতি প্রধান নির্দেশনা হচ্ছে, প্রবাসীরা যাতে গুজব ও বিভ্রান্তির শিকার না হন। প্রায় প্রতিটি চিঠিতেই মিশনগুলোকে দায়িত্ব পালনরত দেশের সরকারের সঙ্গে যুক্ততার পাশাপাশি সেখানকার চিন্তক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সেই প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।