
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পেছনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনার পর এ নির্দেশনা দেন তিনি। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, “জুলাই সনদের” খসড়া তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। তিনি বলেন, “বেশকিছু বিষয়ে ইতোমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে খুব শিগগিরই এটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতি অধীর আগ্রহে ‘জুলাই সনদ’-এর অপেক্ষায় আছে। আশা করছি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই এটি উপস্থাপন করা যাবে।”
তিনি তার সদ্য সমাপ্ত লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিরা, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা, রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। অনেকেই জানতে চেয়েছে তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে কিনা। আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালটসহ অন্যান্য বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।”
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, অতীতের বিতর্কিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।”
সূত্র: ইত্তেফাক