প্রচ্ছদ জাতীয় বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব কমানোর চেষ্টায় ৯ দল

বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব কমানোর চেষ্টায় ৯ দল

প্রক্রিয়া এবং পিআর ইস্যু নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান নিরসন প্রয়োজন। তাই আমরা দুই দলের সঙ্গে বসে একটি সমাধানের পথ বের করতে চেষ্টা করব।’

বৈঠকে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রথমত, গুরুত্ব পাবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে, সেটা। দ্বিতীয়ত, থাকবে উচ্চকক্ষে পিআর বাস্তবায়ন এবং তৃতীয়ত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যে সব সংস্কার প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, তার সংখ্যা কমানো যায় কি না।’

জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এ বিষয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কার্যত মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছে। তাদের এমন অবস্থানে পতিত ফ্যাসিবাদ আবারও ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

এতে করে দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণও ব্যাহত হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের স্বার্থে দুই দলের দূরত্ব কমাতে আমরা নয়টি দল উদ্যোগ নিয়েছি। তার মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ আমাদের তিনজনের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা থাকবে। আশা করি, চলতি মাসের মধ্যে দুই দলের দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাসদ এবং গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপর বিএনপিসহ অন্য দলের সঙ্গে হবে বৈঠক। আমরা আশাবাদী, আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে বিদ্যমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি শ্রমিক পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যকার দূরত্বের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা দূর করতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে একজোট হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘মাত্র ৭ বছর আগে দলীয় স্বার্থে দুই দল একই মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে। এখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একজোট হয়ে এক মার্কায় নির্বাচন করলে সমস্যা কোথায়?’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবার মনে শঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে আদৌ নির্বাচন হবে কি না? জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো গেলেও রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে আবার সংশয় দেখা দিয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপি ও জামায়াত একজোট হলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না। এ সময় নতুন ভূমিষ্ঠ হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের মধ্যে বিতর্কে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় দেশের অগ্রগতি থমকে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’