সারাদেশ: সরকার পদত্যাগের একদফা ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বরিশালে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নগরীর টাউন-হল দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণসংযোগ শেষে লিফলেট বিতরণ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেনসহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।এদিকে বিএনপি নেতাদের দাবি, পুলিশ হামলা চালিয়ে তাদের ২০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
সাধারণ মানুষকে ভোটে নিরুৎসাহিত করতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকাল ১০টা থেকে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নির্বাচন কমিশনবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন তারা। এরপর ভোটদানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সদর রোডে সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। এরপরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মিছিল বের করার চেষ্টা করে তারা। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, পুলিশ লাঠিচার্জ করে ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আহত করেছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেনসহ ৭ জনকে আটক করার তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। তিনি দাবি করেন তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ এসে তাদের ওই কর্মসূচিতে বাধা দেয়। তারা কর্মসূচি চলমান রাখার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি লিফলেট বিতরণ শেষে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। আমরা মিছিল বের করতে নিষেধ করলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করলে আমরা তাদের লাঠিচার্জ করে নিবৃত করার চেষ্টা করি। এ সময় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |