
সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নযুদ্ধ এখন মূলত চৌধুরী পরিবারের দুই প্রার্থীকে ঘিরে সীমাবদ্ধ। শুরুতে একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায় একক পরিসরে নেমে এসেছে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীর মধ্যে।
আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র। অন্যদিকে আব্দুল হাকিম চৌধুরী সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুজনই নিজেদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে মাঠে সরব। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কেন্দ্রীয় ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পাওয়ার পর থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে। দলের অভ্যন্তরে এখন তার অবস্থান যে শক্ত হয়েছে— সে বিষয়ে প্রায় একমত স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকতে আরিফুল প্রতিদিন ভোরে সিলেট নগর ছেড়ে ছুটে যাচ্ছেন গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের গ্রামেগঞ্জে। তৃণমূলের নেতাকর্মী, সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় পেশাজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এবং স্থানীয় জনপ্রিয় মুখদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। সোমবার তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার সনাতনী ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের দুটি বৃহৎ মহাসংকীর্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অন্যদিকে, আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সমর্থকরাও মাঠ ছাড়েননি। প্রতিদিনই গোয়াইনঘাট এলাকায় তার অনুসারীদের শোডাউন, মিছিল ও প্রচারণা চলছে। হাকিমের দাবি, ‘এই মাঠ আমার। মাঠের মানুষ আমাকেই চায়।’
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠতা, সিটি রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপনের কারণে আরিফুল হক চৌধুরীর অবস্থান বর্তমানে অনেকটা সুদৃঢ়। তাদের ভাষায়, সিলেট নগরের মতোই সিলেট-৪ আসনেও এখন আরিফুলের বৃহস্পতি তুঙ্গে।











































