বাবা সজল পেশায় ড্রাইভার। কাজের তাগিদে ছিলেন বাইরে। মা সুমাইয়া ব্যস্ত ছিলেন ঘরের কাজে। এমন সময় বিকট শব্দে শুনতে পান তাওহীদ (৭) ও তৈয়বা (৫)। বাইরে কীসের শব্দ দেখতে ঘর থেকে বের হয় দুই ভাইবোন। এই ঘর থেকে বের হওয়াই কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের।
বুধবার (১৩ মার্চ) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৩২ জনের মধ্যে রয়েছে তাওহীদ ও তৈয়বা। তারা এখন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
জানা যায়, বার্ন ইউনিটের ৭ তলায় এইচডিইউতে তৈয়বা আক্তারের সারা শরীরে ব্যান্ডেজ। হাত-পা নাড়াতে পারছে না। একই ইউনিটে ভর্তি তৈয়বার বড় ভাই তাওহীদ। তার শরীরের ৮৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় কোনো কথা বলতে পারছে না ছোট এ দুই শিশু।
দুই শিশুর বাবা সজল মিয়া জানান, আগুন আগুন শব্দ শোনার পর দুই শিশু টিনের ঘর থেকে বের হতেই শরীরে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই সারা শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কথাগুলো বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সংসারে তাদের এ দুটি সন্তানই। এখন তিনি কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে আগুনে দগ্ধদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম সোলায়মান মোল্লা (৪৫)। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু।
ডা. ইমু জানান, গাজীপুরের ঘটনায় সোলায়মান মোল্লা নামে এক ব্যক্তি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |