হেড লাইন: বাংলাদেশে আবারও ভিসা সেন্টার খোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্গ। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্গ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার দেশের ভিসা কেন্দ্র ঢাকায় ফিরিয়ে আনার এবং দু’দেশের মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন-রোধে আলোচনার বিষয়ে দেশটির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
এসময় বাংলাদেশ সফর করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাতকালে টনি বার্গ বলেন, তিনি বাংলাদেশের ঘটনাবলী গভীর আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করেছেন এবং স্বৈরাচারী শাসন পতনের পর দেশের বৃহৎ উদযাপন প্রত্যক্ষ করেছেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশ পুনর্গঠন করা একটি বড় কাজ, কারণ স্বৈরাচার সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং অর্থনীতি শোচনীয় অবস্থায় ছিল। চ্যালেঞ্জগুলো বড়। প্রত্যাশাগুলোর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সবচেয়ে কঠিন অংশ। তবে, বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্যশীল।
বাংলাদেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করে টনি বার্গ বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়। এসময় অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রীকে অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ এবং বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অভিবাসনের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। তখন টনি বার্গ বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অভিবাসনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ বইটির একটি কপি উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বইটি জুলাই বিপ্লবের সময় দেশের বিভিন্ন শহরের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল নিয়ে লেখা। টনি বার্গ উপহারটির প্রশংসা করেন এবং শহরের কিছু অংশে গিয়ে শিল্পকর্মগুলো সরাসরি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |