বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহকারী ভারতীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েল ইন্ডিয়া জানিয়েছে তারা তাদের ডিজেল রপ্তানির অর্থ ঠিকমতো পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের উপর দিয়ে তেল পরিশোধনাগার প্রজেক্টের যন্ত্রাংশ পরিবহণেও তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রণজিৎ রাথ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের মধ্যে একটি লেটার অব ক্রেডিট রয়েছে।” ওয়েল ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) বর্তমানে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাৎসরিক ০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন ডিজেল বাংলাদেশে পাঠায়। ২০২৩ সালের মার্চে পাইপলাইনটি উদ্বোধন করা হয়। এই পাইপলাইনটির বছরে ১ মিলিয়ন টন ডিজেল পাঠানোর সক্ষমতা রয়েছে। এই পাইপলাইনের পার্বতীপুরে এসে ডিজেল পৌঁছায়। এরপর সেগুলো সারা দেশে যায়।
ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ওয়েল ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানটি আসামের নুমালিগড়ে অবস্থিত। এটি নিজেদের সক্ষমতা ৩ এমটিপিএ থেকে ৯ এমটিপিএ-তে বাড়াচ্ছে। পরিধি বাড়াতে তাদের প্রয়োজন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ। যেগুলো পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশ হয়ে নুমালিগড়ে আসে বলে জানিয়েছেন ওয়েল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হলেও এই কার্গোগুলো বাংলাদেশ হয়ে আসতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এদিকে ডিজেলের পাশাপাশি ভারতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি পাওয়ার। তবে তাদের কাছে বাংলাদেশের ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পড়ে গেছে। এই অর্থ পরিশোধের জন্য সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
এরমধ্যে ওয়েল ইন্ডিয়া জানালো তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে ডিজেল সরবরাহ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ঠিক মতো পেয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস, ঢাকা পোস্ট
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |