সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশসহ ৩টি দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে। সুইস সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায় তাদের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
সুইস পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এল্টশিঙ্গার বিবিসিকে জানিয়েছেন, এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করে আসছিল। তবে বাজেট কাটছাঁটের কারণে এই সহায়তা ধাপে ধাপে কমানো হবে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেটি অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এই মানদণ্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে সুইস উন্নয়ন সহযোগিতার (এসডিসি) বিশেষ অবদান। সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘমেয়াদি পররাষ্ট্র নীতি (যেমন, কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা)।
তবে সুইজারল্যান্ড পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখবে। কিছু বিশেষ খাতে, যেমন রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট সহায়তা অব্যাহত থাকতে পারে।
কেন সহায়তা বন্ধ?
সুইস সরকার তাদের উন্নয়ন বাজেট কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২৫ থেকে ধারাবাহিকভাবে ২০২৮ সালের মধ্যে ৪৩১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বাজেট কমানো হবে। এর অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য কী প্রভাব?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রভাব পড়তে পারে। তবে সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নতুন সহায়তা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এদিকে ২০২৮ সালের পর বাংলাদেশ আর সুইস উন্নয়ন সহায়তার তালিকায় থাকবে না, তবে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চালু থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
কী পরিমাণ সহায়তা পায় বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ সুইস উন্নয়ন সহায়তার শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৩৪১ লাখ সুইস ফ্রাঁ বরাদ্দ ছিল। সুইস অর্থায়নের তালিকায় এশিয়ার মধ্যে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের পরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল। অন্যদিকে, আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ার জন্য সহায়তার পরিমাণ আরও কম ছিল।
সূত্র: কালবেলা
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |