প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আলোচনা

বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আলোচনা

জাতীয়: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ জোরালোভাবে আলোচনা হয় বাংলাদেশের ওপর মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে। নির্বাচনের পরও আলোচনায় হচ্ছে ভিসানীতি নিয়ে। নতুন করে বাংলাদেশের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না—এমন প্রশ্নই উঠেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ইস্যুতে করা প্রশ্নে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানান দেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তবে তাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি এমন অভিযোগ করে সাংবাদিক জানতে চান, যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করেছে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের 3C ভিসানীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধের অবস্থা কী?

জবাবে বেদান্ত বলেন, ভিসানীতি এবং তা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো আপডেট আমার কাছে নেই। এই ভিসানীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিসানীতির বিষয়ে আমি যা বলব, বিষয়টি এমন নয় যে, নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আর তাই সূর্য ডুবে গেছে।

সাংবাদিক সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান, ভিসা নিষেধাজ্ঞা কী এখনো চলমান? জবাবে বেদান্ত বলেন, হ্যাঁ। ভিসানীতি প্রয়োগে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর আগে গত ১ জানুয়ারি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশটির উদ্বেগের কথা জানান। নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ম্যাথিউ মিলারে বলেন, আমি দুটি বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমটি হলো গ্রেপ্তারকৃত সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান, আর দ্বিতীয়টি হলো বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।