বইমেলায় গিয়ে সাধারণ মানুষ ও দর্শনার্থীদের রোষানলে পড়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন আলোচিত মুশতাক-তিশা দম্পতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ বলেছেন, তাদেরকে কেউ বইমেলা থেকে বিতাড়িত করেনি। স্বেচ্ছায় বের হয়ে এসেছেন।
মুশতাক বলেন, এবারের বইমেলায় আমার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’ আরেকটা ‘তিশার ভালোবাসা’। এবারই প্রথম বই প্রকাশ করেছি এমন না গত বছরেও আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বই প্রকাশ উপলক্ষ্যে গত ৭ তারিখ আমি বইমেলায় যাই। সেখানে শত শত লোক আমার অটোগ্রাফসহ বই নিতে স্টলের সামনে ভিড় জমায়। সবাই আমাদের সাথে সেলফি তুলতে ইচ্ছা পোষণ করেছে। আমাদের সাদরে গ্রহণ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকালের ঘটনা উল্লেখ করে মুশতাক বলেন, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আবার আমরা বইমেলায় যাই। ছুটির দিন থাকায় অনেক মানুষের সমাগম হয়। সেখানে মিজান পাবলিশার্সের সামনে ব্যাপক ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। তারা আমাদের সাথে স্বেচ্ছায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে ছবি তুলার ইচ্ছা পোষণ করে। মোটামুটি একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিন্তু ক্রমান্বয়ে লোকসংখ্যা এত বেড়ে যায় যে যারা বই কিনতে এসেছে তারা স্টলে ঢুকতে পারছিল না। মানুষের ভিড়ে আশপাশের স্টলে বই বিক্রিতে ডিস্টার্ব হচ্ছিল। এর মধ্যে অনেকে আবার আমাকে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। এর মধ্যে আবার কিছু বিরূপ স্লোগানও দিচ্ছিল কেউ কেউ। আমি মনে করলাম যারা বই কিনতে এসেছে এই ভিড়ের কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছে তাই স্বেচ্ছায় আমরা বইমেলা থেকে বের হয়ে যাই।
মেলা থেকে কেউ বের করে দেয়নি দাবি করে তিনি আরও বলেন, আমাকে কেউ মেলা থেকে চলে যেতেও বলেনি বা বিতাড়িত করেনি। আমি স্বেচ্ছায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে মেলা থেকে বের হয়ে যাই। যেহেতু অনেক লোক ছিল তাই মেলায় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। মেলায় যেহেতু বই বেড়িয়েছে সেগুলো পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া দরকার এজন্য প্রকাশককে বলে এসেছি আমরা আসলে যেহেতু অনেক লোকের সমাগম হয়। প্রকৃত পাঠকরা বই কিনতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাই আমরা আর মেলায় আসব না।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মিজান পাবলিশার্সের সামনে ব্যাপক ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। মুশতাকের লেখা ‘তিশার ভালোবাসা’ এবং ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’ বই হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন মুশতাক-তিশা দম্পতি। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী এসে তাদের ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে তাড়া করেন। এসময় আনসার সদস্যরা মুশতাক-তিশা দম্পতিকে নিরাপত্তা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউেটর গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে, বিভিন্ন স্থানে সাক্ষাৎকার দিয়েও নিজেদের ভালোবাসার কথা জানান দিচ্ছেন এই দম্পতি। সম্প্রতি নিজেদের নামে একটি ফেসবুক পেজও খুলতে দেখা গেছে মুশতাক-তিশা দম্পতিকে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |