প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক ফ্লোটিলা থেকে যে বার্তা দিলেন শহিদুল আলম

ফ্লোটিলা থেকে যে বার্তা দিলেন শহিদুল আলম

গাজা অভিমুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় রয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম। তবে এবারের যাত্রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের এ নৌবহরটি এখনও বড় ধরনের কোনো আক্রমণ বা বাধার সম্মুখীন হয়নি। ইসরাইলি হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় শহিদুল আলম নিজের ফেসবুকে লেখেন, আমার ‘ড্রোন ওয়াচ’ দেখাচ্ছে- আরও এক ঘণ্টা যেতে হবে, যেখানে আমরা সাধারণত সম্ভাব্য আক্রমণের প্রতি নজর রাখি। আমার ওয়াচে এর আগে একটি তুর্কি জাহাজ দেখা গেছে, তবে এখন পর্যন্ত বিপজ্জনক কিছু ঘটেনি।

প্রায় ৫০টি জাহাজ ও নৌকা নিয়ে গঠিত এই নৌবহরে ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। স্পেনের উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করা এই বহর বর্তমানে গাজা থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এতে রয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী—যা গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

গত মার্চ থেকে গাজার সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকায় এবং ইসরাইলের বাধার কারণে মানবিক সহায়তা আটকে যাওয়ায় এই নৌবহর বিশ্বজনীন সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে এবং ইসরাইলের অমানবিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

ইসরাইল একটি মানবিক ও বেসামরিক উদ্যোগকে এত ভয় পাচ্ছে? এর উত্তর লুকিয়ে আছে তাদের প্রকৃতি ও নীতিতে। বহু বছর ধরে ইসরাইলের সামরিক, কূটনৈতিক ও গণমাধ্যমের মতো নানা হাতিয়ার ব্যবহার করে নিজেদের বৈধ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। অথচ ‘সুমুদ’ নৌবহরের মতো উদ্যোগগুলো সেই মুখোশ ছিঁড়ে দিচ্ছে। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নাগরিকদের উপস্থিতি প্রমাণ করছে, বিশ্ব বিবেক ইসরাইলের অপরাধের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে।

এই নৌবহর শুধু ত্রাণ সহায়তাই বহন করছে না বরং বহন করছে সংহতির বার্তা, প্রতিবাদ ও বেসামরিক প্রতিরোধের প্রতীক—যা ইসরাইলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।