মিডিয়া : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। পরাজয়ের পর সোমবার (৮ জানুয়ারি) পরবর্তী পরিকল্পনার ব্যাপারে কথাও বলেছেন। এরপর এদিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক লাইভে এসে বিস্তরভাবে কথা বললেন এ নায়িকা।।
এদিন রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে ফেসবুক থেকে লাইভে এসে প্রথমেই বলেন, সবাই নিশ্চয় ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। কিছুটা তো মন খারাপ হবেই। কারণ আমি হেরে গেছি গেমে; নির্বাচন একটা গেম। মন খারাপ কিছুটা, কিন্তু সেরকম কিছু না।
এ নায়িকা জানান ―প্রতিটি সিচ্যুয়েশনেই আগে নেগেটিভ বিষয়টি মাথায় রাখেন যে, নেগেটিভ হতে পারে। প্রতিটি সিচ্যুয়েশনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তার ইসতেহারে বলা কথা যেমন নারীদের ঘর হবে একেকটা কর্মসংস্থান ও তরুণরা হবেন উদ্যোক্তা। এসব ঠিক কতটা বড় পরিসরে তিনি করতে পারবেন, সেটা সরকারিভাবে যতটা সম্ভব তা ব্যক্তিগতভাবে একটু চ্যালেঞ্জিং। এরপরও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যথেষ্ট চেষ্টা করবেন তিনি।
মাহি বলেন, এই তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তা-ঘাটের যে বেহাল অবস্থা, সারাদেশের রাস্তা যে উন্নত সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনো গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। বৃষ্টি ও বর্ষার সময় হাঁটু কাঁদা হয়ে যায়। সেই রাস্তাঘাট এবং বরেন্দ্রভূমির যে পানির সমস্যা, এই দুটো বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন। যিনি নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন, গত ১৫ বছরে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি, সেসব এই পাঁচ বছরে যেন তিনি করেন।
এ সময় আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী এবং নির্বাচিত প্রার্থীর সমালোচনা করেন অভিনেত্রী। বলেন, গত ১৫ বছরে তার যে জনপ্রিয়তা কমে এসেছিল, তা যেন এই পাঁচ বছরে কাটিয়ে উঠেন তিনি। আমি কিন্তু মাঠে আছি। তা না হলে আগামী পাঁচ বছর পর ফের নির্বাচনী মাঠে দেখা হবে। তার তো জনপ্রিয়তা শূন্য। যতটা ভোট পেয়েছেন সেটা নৌকার জন্য। তো আপনাদের এত খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এছাড়া সমর্থকদের ব্যাপারে ‘অগ্নি’ খ্যাত নায়িকা বলেন, আমার জন্য মাঠে যারা কাজ করেছে, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যারা কাজ করবে সেসব কর্মী-সমর্থকদের আপনারা (ক্ষমতাবান) যদি কোনোরকম ডিস্টার্ব করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আমি কিন্তু দুর্বল না। আমি মানসিকভাবে যতটা শক্তিশালী, কর্মীদের ন্যূনতম অপমানেও আমি সর্বোচ্চ লড়াই করব। যে কর্মীরা আমার জন্য কাজ করেছে, তাদের জন্য দরকার হলে আমি জানও দিতে পারি।
মাহি আরও বলেন, পাঁচ বছরে আপনারা (নির্বাচিত প্রার্থী) এমন এমন কাজ করবেন, যাতে মানুষের হৃদয়ে আপনাদের জায়গা হয়। যিনি নতুন সংসদ সদস্য হয়েছেন, তার প্রতি আমার পরামর্শ। আপনারা মানুষের উপকারের জন্য যে সুপ্রিম পাওয়ার পেয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য, সেটা কাজে লাগাবেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নিবার্চন করে ৯ হাজার ৯ ভোট পেয়েছেন মাহি। আসনটিতে এক লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |