প্রচ্ছদ হেড লাইন ফেসবুকে পরীমণি-বুবলীর পাল্টাপাল্টি আক্রমণ!

ফেসবুকে পরীমণি-বুবলীর পাল্টাপাল্টি আক্রমণ!

হেড লাইন: ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন বুবলী। যেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে। প্রায় ৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে অনেক কিছুই বলেছেন বুবলী। জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর সময়ে বীরকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কতটা সংগ্রাম করেছেন তিনি।

এদিকে বুবলীর সেই ভিডিওর পরেই ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। যদিও পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম নেননি তিনি, তবে পরোক্ষভাবেই তাকে নিশানায় রেখেছেন এই অভিনেত্রী। পরীমণির দাবি, বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি তাকে ‘কপি’ করেই বানানো! কেন এমনটা মনে করছেন পরী, সেই কারণটাও স্পষ্ট। মাসখানেক আগেই ছিল পরীমণির ছেলে পূণ্যর জন্মদিন। ছেলের জন্মদিনে তাকে নিয়ে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। পরী মনে করছেন, তার সেই ভিডিওর ধারণাই কপি করেছেন বুবলী। নিজের স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন, ‘আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!’

বুবলী ছেলেকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ঠিক তার এক ঘণ্টা পর রাত তিনটা নাগাদ পরীমণি স্ট্যাটাসটা দিয়েছেন। ফলে ভক্তদেরও বুঝতে সমস্যা হয়নি, পরী কাকে ইঙ্গিত করেছেন। এদিকে বুবলীও থেমে থাকেননি। পরীমণির সেই স্ট্যাটাসের পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনিও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। অপর এক স্ট্যাটাসে এই নায়িকা লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সাথে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মিলে, একদম মিলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে।

বুবলী আরও লেখেন, তেমনি মা সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ইমোশনাল ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই শুধু এই সিন্ডিকেট চামোচ গুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই ২-১ জন শুধু মা হইসে, আর কেউ মা হয়নি। তাদের শুধু লেবার পেইন হয়েছিল আর কারো হয়নি, তাদের পারিবারিক যুদ্ধ, সন্তানের স্মৃতি, জীবন সংগ্রাম, কষ্ট , ঘর গোছানো ,খাওয়ানো সব কিছু স্বাভাবিক কিন্তু আর কারো এরকম হয়না। তারাই খাবার খাওয়ার পর প্রেসার আসলে ফ্রেশরুমে দৌড় দিবে কিন্তু আর কেউ যাইতে পারবেনা। তারাই লাল, নীল, হলুদ রং পরবে আর কেউ পরতে পারবে না। তারাই হাসবে, কাঁদবে, ঘুমাবে, আর কেউ পারবেনা। যদি আপনি পারেন তাহলে আপনার আবেগ নাই, বিবেক ও নাই, শুধু কপি আছে। এদিকে দুই নায়িকার ফেসবুকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি ভক্তরাও ভালোভাবে নেননি। কেউ তাদের একজনের পক্ষ নিয়ে অন্যজনকে কথা শুনিয়েছেন। কেউ আবার দুজনকেই বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।