প্রচ্ছদ জাতীয় ফের ভেসে উঠল আবরার ফাহাদের স্ট্যাটাস

ফের ভেসে উঠল আবরার ফাহাদের স্ট্যাটাস

আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নৃশংসভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ সময়ে এসে আবারও ভাইরাল হয়ে উঠেছে তার একটি পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়ে চার লাখের বেশি লাইক ও ৭৩ হাজারের বেশি শেয়ার পেয়েছে। মূলত তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টটি ফের আলোচনায় এসেছে।

এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সকল জেলা শিল্পকলায় একযোগে বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত আয়োজনটি সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে উদ্বোধন করা হবে। এছাড়াও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় তার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান ‘আবরার ফাহাদ: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের নয়া প্রতীক ও আমাদের সংস্কৃতি’ অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনায় আসা পোস্টটি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর। পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

আবরার ফাহাদ আরও লিখেছিলেন, কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব। কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।

তিনি লিখেন, হয়ত এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন- ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’