
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের করা বিদেশ গমনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার সকালে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত তার এই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
তবে এদিন আহমেদ আকবর সোবহান ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগমসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।
এদিন সাফওয়ান সোবহানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, বিএনপির ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
তারা লিখিত আবেদনে বলেন, হুয়াওয়ে, উক্সি হেলিপন্ট কেমিক্যাল টেকনোলজি কোং, সিচুয়ান শুডাও কনস্ট্রাকশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোং লিমিটেডসহ একাধিক সেক্টরের বাণিজ্যিক বৈঠকের জন্য চায়না কোম্পানির সঙ্গে চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যবসা সংক্রান্ত মিটিং, ভিজিট ও প্রয়োজনীয় এমওইউ এবং চুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম অংশ নিতে চীনে গমন প্রয়োজন। ওই বৈঠকে অংশ নিতে না পারলে কার্যাদেশ পাওয়া অনিশ্চয়তায় পড়বে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশ গমনের অনুমতি দেওয়া আবশ্যক। বৈঠক উপলক্ষে আবেদনকারীর নামে চীনের হোটেলে বুকিং এবং বিমানের টিকেট বুকিং দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে দুদকের পক্ষে আবেদনের বিরোধিতা করেন প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি। শুনানিতে তারা বলেন, পিটিশনার সাফওয়ান সোবহানের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেয়ে বিদেশে চলে গেলে, তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এর আগে সন্দিগ্ধ হিসেবে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর সাফওয়ান সোবহানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদকের অভিযোগ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি দখল, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। তারা দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন, এমন প্রেক্ষাপটে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন।
সুত্রঃ আমার দেশ












































