প্রচ্ছদ হেড লাইন ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

হেড লাইন: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন অনিল বনিক। বুধবার (৮ মে) রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে টিয়া পাখি প্রতীকের প্রার্থী আমজাদহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল বনিক তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুল হক কালা তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৫ ভোট, আব্দুর রহিম পাটোয়ারী চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৮৯১ ভোট, পরিমল চন্দ্র রায় টিউবওয়েল প্রতীকে ৩ হাজার ১৯৭ ভোট এবং সাইফুদ্দিন মজুমদার উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৮ ভোট। নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ধস্তাধস্তি, জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক, ব্যালট পেপার জব্দসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। তবে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দুপুর ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে বিকেল পর্যন্ত সেটি দাঁড়ায় ২৭ শতাংশে।

সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ছিল না উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি। ছিল না ভোটারের চিরচেনা লাইনও। আবার কয়েকটি কেন্দ্রে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, দুপুরের পর জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এবং গাবতলা হাজী আমীর হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোটকেন্দ্রের ২৪৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ২৯ হাজার ১৮০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ ছাড়া জাল ভোট দিতে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ১৯টি সিল দেওয়া ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়েছে।