প্রচ্ছদ জাতীয় ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জিতের বাড়ি গোপালগঞ্জে

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জিতের বাড়ি গোপালগঞ্জে

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাসের বাড়ি ভারতে নয় গোপালগঞ্জে। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে ভারতে গিয়েছিলেন এবং পরে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনটাই জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ফরিদপুর জেলা পুলিশ। জানানো হয়, গোপালগঞ্জ থেকে তার পরিবার ফরিদপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরিবার বলছে, সঞ্জিত ভারতে গিয়েছিলেন কিন্তু ভারতীয় নাগরিক নন।

এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল জেলা পুলিশ। এর একদিন পর পুলিশ জানায়, গ্রেপ্ততার হওয়া ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক এবং মানসিক ভারসাম্যহীন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, ‘ভাঙ্গার হরি মন্দির ও কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের দেওয়া গত ১৬ সেপ্টম্বর প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) এর পিতা নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২) ফরিদপুর জেলা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জানান যে, আটককৃত ব্যক্তি তার ছেলে। তার প্রকৃত নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), পিতা-নিশিকান্ত বিশ্বাস, সাং-নিজামকান্দী, থানা-কাশিয়ানি, জেলা-গোপালগঞ্জ।’

‘তার পিতা আরও জানান যে, তার ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) মানসিকভাবে অসুস্থ, প্রায় ২৪/২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিলেন, পরবর্তীতে দেশে ফিরেন। এরপর প্রায় ৪ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন, আর বাড়িতে ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই। তিনি প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতেন’ বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি এখন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে রয়েছেন।

গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা দেখে ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করে মন্দির কমিটি। পরে সেখান থেকে সঞ্জিত বিশ্বাসকে আটক করা হয়।

সুূত্রঃ জুমবাংলা

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।