
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সাদমান সাকিব কৃষি অনুষদের ৮৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, জুনিয়র অবস্থায় তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন। তবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে গিয়ে ও রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তিনি প্রোগ্রামে যাওয়া বন্ধ করেন।
তিনি বলেন, আমি ৭৮তম ব্যাচের মারুফ ভাইয়ের সঙ্গে প্রোগ্রামে যাওয়া বন্ধ করি। এরপর প্রোগ্রামে না যাওয়ার আক্রোশে ১২ অক্টোবর আমাকে হলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় এবং রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রথম কেন্দ্রের ফলাফলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর ভোটের চেয়ে ৪ গুণ এগিয়ে শিবির
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, ঘটনার পর তিনি তিন দিন ধরে হলের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি আরও বলেন, ১৪ অক্টোবর আমার বায়োকেমিস্ট্রি পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও হলে ঢুকতে না পারায় পড়তে পারিনি, এমনকি পরীক্ষাও দিতে পারিনি। এটা আমার জীবনের বড় ক্ষতি।
বর্তমানে ক্যাম্পাসেও নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন জানিয়ে সাকিব প্রশাসনের কাছে দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে বৈধ শিক্ষার্থী। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা যেন আর কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে না ঘটে। অনতিবিলম্বে আমাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মারুফ নির্ধারিত সময়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে না পারায় ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। তবুও তিনি অবৈধভাবে হলের সিট দখল করে আছেন। এছাড়াও নবীন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মারুফ তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার সিট ফেলার আমি কে? এটা ওর ব্যাচের সিদ্ধান্ত।
তবে একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মো. হাসান বলেন, ঘটনার পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি, আগে জানতাম না। শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, ছাত্রদলের কোনো প্রোগ্রামে না যাওয়ার কারণে কাউকে সিট থেকে বের করে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। একজনের সিট ফেলার খবর পেয়েছি, তবে সেটা তাদের ব্যাচের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বা ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা কখনো জোরজবরদস্তি করি না। যারা সংগঠনের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করছে, তাদের পরিহার করা উচিত।
এ বিষয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, একজন শিক্ষার্থী আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি তাকে অফিসে এসে বিস্তারিত বলার জন্য বলেছিলাম, কিন্তু সে আর আসেনি। যদি সুস্পষ্ট অভিযোগ পাই, ব্যবস্থা নেব।