
রিট পিটিশন হয় প্রমাণিত সত্য বিষয়ে যেখানে কোন মতপার্থক্য থাকে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য মোহাম্মদ শিশির মনির। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে যুক্ত হয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করেছি ২৩ তারিখে। চূড়ান্ত বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করেছি ২৬ তারিখে। আমরা তো কোনো অভিযোগ পাইনি। কেউ তো আমাদের কাছে বলেনি যে, এই ব্যক্তি এইভাবে, এইভাবে অমুক জায়গায় জড়িত ছিল।
শিশির মনির বলেন, আমরা নির্বাচনি ট্রাইবুনাল করেছিলাম, কিন্তু সেই ট্রাইবুনালেও আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, রিট পিটিশন করে একটি অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। এবং তার ভিত্তিতে আমরা দেখলাম, আদালতে ২০২২ সালে একটা প্যাডের ফটোকপিতে একটা নাম লেখা আছে। এই একটা ফটোকপি ছাড়া আর কোনো তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছেও জমা দেওয়া হয়নি, আজকে আমরা আদালতেও ভিন্ন কোন প্রমাণ তা দেখতে পাইনি। আর যাকে কেন্দ্র করে এটা বলা হচ্ছে, তিনি তো এটাকে মিথ্যা অভিযোগ বলে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, এক পক্ষ বলছে একটা, অন্য পক্ষ বলছে আরেকটা। এগুলো কখনোই রিট পিটিশনের বিষয় নয়। রিট পিটিশন হয় সেসব বিষয়ে, যেখানে প্রমাণিত সত্য থাকে—কোনো মতপার্থক্য থাকে না। সে সত্য আইন অনুযায়ী সঠিক নাকি বেঠিক, সেটি দেখা হয়।
এ সময় উপস্থাপক অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে প্রশ্ন করে বলছেন, ‘আবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি জামায়াতের আইনজীবী হয়ে ডাকসুর মামলায় কীভাবে যুক্ত হলেন? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?’ এসময় অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি অনলাইনে। সে ছোটভাই মানুষ। হয়তো ভুল করে বলে ফেলেছে। আমি মাইন্ড করিনি। ছোট মানুষ, ও বুঝতে পারেনি। এজন্য বলে ফেলেছে, তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি তার প্রতি একদমই কিছু মনে করিনি। ছোট মানুষের ছোট কথা হয়েছে, এই আরকি।’
এরপর উপস্থাপক জানতে চান তিনি শুধু ডাকসুর এই মামলায় লড়ছেন নাকি আরও আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত? এ প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আমি অনেক মামলায় লড়েছি। অলমোস্ট সকল মামলায়ই আমরা বিজয়ী হয়েছি। এটা হয়তো আমার ছোটভাই আবিদ জানেন না। না জানার কারণেই হয়তো তার মুখ দিয়ে কথাটা বের হয়ে গেছে। আমি মনে করি, সে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা বলেনি। কথার কথা বা মুখ ফসকে এটা বলে ফেলেছে, এর চেয়ে আর বেশিকিছু মনে করিনি।’
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছিলেন বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম।
এই রিট আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।










































