সারাদেশ: সুন্দরী স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রথমে তাদের স্বামীকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এরপর প্রবাসে স্বামীকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে দেশে এসে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। যখনই স্ত্রী বেঁকে বসে, তখনই বিদেশে স্বামীকে নির্যাতন করা হয়। এরপর স্ত্রীকে আবারও তার কাছে যেতে বাধ্য হয়।
লোমহর্ষক এক ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ পেতেছেন বরগুনার পাথরঘাটার দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এই ফাঁদ পেতে ওই এলাকার অনেক গৃহবধূকে বিছানায় নিতে বাধ্য করেন তিনি। কিন্তু মান সম্মানের ভয় এবং স্বামীকে বাঁচাতে মুখ খুলছেন না কোনো নারী। তবে মাসের পর মাস ধর্ষিত হওয়ার পর কালবেলার কাছে মুখ খুলেছেন এক নারী। জানিয়েছেন, ভয়ংঙ্কর সব অভিযোগ ও অভিজ্ঞতার কথা।
জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে প্রবাসে থাকেন আল মামুন। সেখানে অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার পর থেকেই এভাবে গৃহবধূদের টার্গেট করে আসছেন তিনি। গৃহবধূদের সঙ্গে তার অন্তত ডজন খানেক ভিডিও কালবেলার হাতে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাত দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। বিদেশে যাওয়ার পর এলাকার বেকার যুবকদের সেখানে নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক। এভাবে হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর টার্গেট করেন এলাকার গৃহবধূদের।
এলাকাবাসী এসব ঘটনা জানলেও তারা কিছুই করতে পারছে না। শুধু প্রশাসনের কাছে মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্বামীকে বাঁচাতে এবং মান-সম্মানের ভয়ে এসব ঘটনা মুখ বুজে সহ্য করছেন ভুক্তভোগীরা। পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন জানান, দ্রুতই তারা এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখবেন। কোনো নারী অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেই নারীকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |