রাজনৈতিক: অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশের এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে আটক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এমএ কাইয়ুম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এম এ কাইয়ুমকে পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর ও আইনজীবী এডমন্ড বন।
কাইয়ুমের মুক্তিতে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মেয়ে অর্নিতা বলেন, আমার বাবা আমাদের বলেছিলেন, ১২ জানুয়ারি আটকের দিন থেকে তার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করা হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে ১৮ জানুয়ারির আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে। ওই আদেশে ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এম এ কাইয়ুমের নির্বাসন স্থগিত করা হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি কাইয়ুমের পরিবার অভিবাসন বিভাগ থেকে তাকে নির্বাসনের চিঠি পান। পরে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে এ আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যান। কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর কাইয়ুমের অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছিলেন, অভিবাসন বিভাগ আদালতের আদেশ মেনে চলবে।
৩১ জানুয়ারি পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি তার (কাইয়ুমের) আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বলেছি, অভিবাসন বিভাগ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলবে। আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেয়, অভিবাসন বিভাগ তাকে নির্বাসন দেবে না।
২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় তিনি ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অবস্থান করছেন। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, ইতালির নাগরিক হত্যার মামলার আসামি বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে মালয়েশিয়ার পুলিশ ও বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) যৌথ অভিযানে ১২ জানুয়ারি আমপাংয়ে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |