বাংলাদেশ: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে লাবণী খাতুন (৩৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তার শিশু ছেলে রিয়াদ(৮) হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাবণী খাতুনের মরদেহ রান্নাঘরে পড়েছিল আর তার সন্তানের মরদেহ বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লাবনী খাতুনের স্বামী আব্দুর রশিদ মালয়েশিয়ায় থাকেন। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় খুন দুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, লাবণী খাতুনের মরদেহ রান্নাঘরে পড়ে ছিল আর তার সন্তান রিয়াদ হোসেনের মরদেহ বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কয়েকজন মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্ত ওই প্রবাসীর বাড়িতে এসে ঘরবাড়িতে ভঙচুর চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা মা ও ছেলে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ শুক্রবার সকালে গিয়ে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে মা ছেলের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এমনিতে কারও সঙ্গে তাদের শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা তাদের এভাবে হত্যা করল তা প্রশাসন দেখবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া বলেন, ওই বাড়িতে ওই নারী, তার শিশু ছেলে ও শাশুড়ি থাকতেন। বাড়ির ভবন তৈরি কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হয়তো টাকাপয়সা চুরি করতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। নারীর মরদেহ রান্নাঘরে পড়ে ছিল এবং ছেলেটির মরদেহ বাড়ির পাশের একটি গাছ ঝুলছিল। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |