
সিলেটের সাবেক বিএনপি সভাপতি প্রয়াত এম এ হকের সন্তান, সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি রিয়াসাদ আজিম আদনানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাংলাদেশির ভুমি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। আর সেই অভিযোগে সূত্র ধরে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান হাতে নিয়ে রিপোর্ট করায় রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করেছেন আদনান নিজেই।
রানার টিভির কাছে আসা তার বিরুদ্ধের অভিযোগে ফাইল হাতে নিয়ে দেখা যায়, ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রয়াত দুদু মিয়া ও বিএনপির প্রয়াত নেতা এম.এ হক ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই সম্পর্কের কারণে দুজন জীবিত থাকতে এম. এ হক সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট উপকণ্ঠে ৬০ শতক জায়গা বিক্রি করেন দুদু মিয়ার কাছে। বিক্রিত জমি রেজিস্ট্রারি দলিলও করে দেয়া হয়। এরমধ্যে ৩০ শতক জায়গা এম.এ হক জীবিত থাকতে বুঝিয়েও দিয়েছেন। বাকি জায়গা দুদু মিয়া বুঝে নিতে এবং এম.এ হক বুঝিয়ে দেয়ার আগেই দুজনই মারা যান। ২০২৪ সালে দুদু মিয়ার বড় ছেলে হুমায়ুন কবির দেশে গিয়ে হকপুত্র আদনানের সাথে যোগাযোগ করে জায়গা বুঝিয়ে দিতে বলেন। ওই ঘটনায় আদনান জায়গা দিবেন না জানিয়ে প্রকাশ্যে হুমায়ুন কবিরকে হুমকি দেন। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে হুমায়ুন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করে দেশ থেকে রাতারাতি যুক্তরাজ্যে ফিরেন। হুমায়ুন যুক্তরাজ্যে ফেরার পরই আদনান জায়গার প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন এবং নিজেই জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে অভিযোগ হুমায়ুনের।
এরপর নিজের স্বামীর কষ্টের রোজগারে কেনা জায়গা উত্তরাধিকার সূত্রে ফেরৎ পেতে হুমায়ুনের মা রাহেলা আক্তার চৌধুরী বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভূমি উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, ভূমি সচিব, আইজিপি, জেলা প্রশাসক সিলেট ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ভূমি ফিরে পেতে আইনি সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এই সকল অভিযোগের তথ্য প্রমান নিয়ে প্রয়াত দুদু মিয়ার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও নাসিম কবিরের ইন্টারভিউ রানার টিভিতে প্রকাশ করেন রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপু। রিপোর্ট প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করেন প্রয়াত দুদু মিয়ার জায়গা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা রিয়াসাদ আজিম আদনান। তার করা সাধারণ ডায়রিতে অভিযুক্তরা হলেন, প্রয়াত দুদু মিয়ার ছেলে নাসিম কবির ও হুমায়ুন কবির। সাধারণ ডায়রিতে রিপোর্ট করার অভিযোগে রানার টিভির রিপোর্টার নুরুল হক শিপুকে ৩ নম্বর আসামি করেছেন আদনান।
রানার টিভির ফাউন্ডার আ স ম মাসুম বলেন, রিয়াসাদ আজিম আদনানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে, তাই পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।









































