জাতীয়: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ইউনূস গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এই ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জামায়াত আমির সাংবাদিকদের জানান, আমরা মনে করি প্রধান উপদেষ্টা একটি দায়িত্বশীল ভাষণ দিয়েছেন। এটা দরকার ছিল। জাতির সামনে আশা জাগানিয়া কিছু কথা শোনার প্রয়োজন ছিল। তার বক্তব্যে এটা প্রতিধ্বনি হয়েছে বলে মনে করি।
তিনি বলেন, তবে এটা ঠিক- এই প্রতিধ্বনির মাধ্যমে আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হতে পারে, অনেকজনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হতে পারে। দেখতে হবে সামগ্রিকভাবে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে কি না- আমরা মনে করি প্রতিফলন হয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা মনে করি তারা সঠিক পথেই আছেন। তারা সঠিক পথে থাকলে আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন, দেশের জনগণও তাদের সাহায্য করবেন।
এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন এই মাসের ৫ তারিখ একটি কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এসেছে। সামনের সারিতে থেকে যারা লড়াই করেছে, জুলুমের বিরুদ্ধে, অধিকার আদায়ের পক্ষে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সমন্বয়ক আছে যারা গোটা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, তাদের একজন হচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। গতকালকে একটা বাহিনীর কিছু লোকেরা সমস্ত আইনকানুন ভঙ্গ করে গায়ের জোরে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল।
জামায়াত আমির আরও বলেন, যারা ত্যাগ তিতিক্ষা ও জীবনের রক্ত দিয়ে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছে, তারা যখন শুনেছে দেশকে অস্থির করার জন্য এই ধরনের একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তখন তারা ওই বাহিনীর সদস্যদের বোঝানোর জন্য, শান্ত করার জন্য গিয়েছিল। তখন এই বাহিনীর লোকগুলো তাদের গায়ে হাত তুলেছে, তাদের মারধর করেছে। একপর্যায়ে প্রতিরোধের মুখে ওই বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। ওই সময় হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকের ওপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়েছে। কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ বলে জানতে পেরেছি।
সূত্র : কালবেলা
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |