দেশজুড়ে : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের নাগরপাড়ার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান এর দুই ছেলে পুলিশ সুপার নূরে আলম এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর শেরে আলম পারিবারিক প্রতিহিংসায় বিপর্যস্ত।।
ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না সরকারি দায়িত্ব। পুলিশ কর্মকর্তাদের চাচা একই বংশের খোরশেদ আলম এবং মোশারফ আলমের প্রতিহিংসাবশত দেয়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ৭৩ টি অভিযোগের কারণে তারা হয়রানির শিকার।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশ হেডকোয়ার্টারস,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে এসব অভিযোগ। আর অভিযোগের সত্যতা খণ্ডন করতে করতে পুলিশ কর্মকর্তা দুই ভাই আজ পর্যদুস্ত। তবে তদন্তে প্রমাণ মিলছে না অভিযোগের স্বপক্ষে। দফায় দফায় অভিযোগ তুলে হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবন।
দেশের প্রেক্ষাপটে পুলিশ কর্মকর্তারা হয়রানি ও প্রতিহিংসার শিকার, বিশ্বাস হবেনা সাধারণের। কিন্তু এমনটিই ঘটছে জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার নূরে আলম এবং ঢাকায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক শেরে আলমের সাথে।
দপ্তরে দপ্তরে দেয়া অভিযোগের তদন্তে প্রমাণ না মিলাই তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন খোরশেদ আলম ও তার ভাই। এরপর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি জানিয়ে নানা আস্ফালন শুরু করেছেন। শুধু পারিবারিক বিরোধ, প্রতিহিংসার জিঘাংসা যে কাউকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে তারই নজীর এ ঘটনাটি।
অভিযোগকারী খোরশেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করিনি। তার অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেখতে চাইলে তিনি সেগুলো ঢাকায় আছে বলে জানান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, খোরশিদ আলম ও তার ভাই মোশারফের পরিবার শত বছর ধরে এলাকায় অত্যাচারী হিসাবে কুখ্যাতি রয়েছে। পক্ষান্তরে প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান অক্লান্ত পরিশ্রম মেধা ও স্বীয় যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত সুনামধন্য। ছেলে মেয়েদের মানুষ করে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা এবং অত্যাচারির বিরুদ্ধে সন্তানদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়ে গেছেন। থেকেই পুলিশ সুপার নূরে আলম এবং উনার ছোট ভাই পুলিশ পরিদর্শক সারে আলম অত্যাচারী খোরশিদ ও তার ভাই মোশারফ আলম হয়রানি করতে উঠেপড়ে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে। অপকর্মের ধারাবাহিকতায় হয়রানির উদ্দেশ্যে উপরোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা পাননি।
অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ এই অভিযোগ করেন তারা। এদিকে খোরশিদ উপরোক্ত তদন্তে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি করেন। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মৃত সুরুজ মিয়া ও তাদের পূর্বপুরুষ এবং তার সন্তানরা মোশাররফ আলমের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশিদ আলম পরম্পরায় এলাকায় অত্যাচারী লোক হিসাবে পরিগণিত। পক্ষান্তরে তাদের পরিবারের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদী ছিলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান। যা চলে আসছে শত বছর ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ ও আদালতে রিট বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সোহাগপুর গ্রামের (৮ নং ওয়ার্ড) ইউপি মেম্বার ফরিদ মিয়া বলেন, আমার জানা মতে নূরে আলম এবং শেরে আলম অত্যন্ত সরল ও ভালো প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক। তাদেরকে কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখিনি।
সোহাগপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক ও মুরুব্বি বলেন, এসপি নূরে আলম ও পুলিশ অফিসার শেরে আলম গ্রামে অনেক মানবিক কাজের সাথে জড়িত। তাদেরকে কখনো কোনো খারাপ কাজে প্রশ্রয় দিতে দেখিনি। তাদের বাবাও অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |