দেশজুড়ে : তিন জেলায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীর বটতলায় নৌকার ক্যাম্পে হামলা ও গুলি করা হয়েছে।।
নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আট কর্মী-সমর্থককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নৌকার নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীর বটতলায় নৌকার প্রচার ক্যাম্পে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির দুটি খোসা জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী মোটরসাইকেলে বজ্রযোগিনীর বটতলায় নৌকার প্রচার ক্যাম্পে হামলা করেন।
এ সময় একজন পিস্তল বের করে ক্যাম্প ও সমর্থক বাবু মুন্সীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। বাবু মুন্সী অভিযোগ করেন, কাঁচির সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন সাগর মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ক্যাম্পে আসেন। তাঁকে দেখেই অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং গুলি চালান। তবে বাবুর শরীরে গুলি লাগেনি।
অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানতে সাজ্জাদ হোসেন সাগরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম শাহজাদার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বকুলবড়িয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহির খান বলেন, গতকাল সকালে এক আওয়ামী লীগ কর্মী তাঁকে ফোন দিয়ে জানান, নৌকার নির্বাচনী অফিসে কে বা কারা আগুন দিয়েছে।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের চারটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ও খলিশাউড় ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল ফকিরের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা চারটি মোটরসাইকেল, বেশ কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর এবং আট কর্মী-সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী রাসেল মিয়া বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা করেছেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থীর ১৯ জন কর্মী-সমর্থকের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |