
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম জাতীয় বেতন কাঠামো বা নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। নবম পে স্কেল মোট তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপের সুপারিশ জমা হবে আগামী জানুয়ারি ২০২৬-এ জাতীয় বেতন কমিশনের মাধ্যমে। পরবর্তী ধাপে সরকার উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা ও বাজেট বরাদ্দের পর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।
গ্রেড কাঠামো: বর্তমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১৩টি গ্রেডে আনা। সর্বনিম্ন বেতন: ৩২,০০০ টাকা। সর্বোচ্চ বেতন: ১,২৮,০০০ টাকা।
সরকারি কর্মচারী সংগঠন এবং সমন্বয় পরিষদ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় ১ জানুয়ারি থেকে কঠোর কর্মসূচি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
জাতীয় বেতন কমিশন গত দশ বছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবিত বেতন ধাপে ধাপে গ্রেড অনুযায়ী:
*গ্রেড-২: ১,২৭,৪২৬ টাকা
* গ্রেড-৫: ৮৩,০২০ টাকা
* গ্রেড-৮: ৪৪,৪০৬ টাকা
* গ্রেড-১০: ৩০,৮৯১ টাকা
* নিম্ন গ্রেড-২০: ১৫,৯২৮ টাকা
নিম্নতম গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে বেতন বৈষম্য দূর করা এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা লক্ষ্য করা হয়েছে।
নবম পে স্কেল ঘোষণার দীর্ঘসূত্রতা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা এবং হতাশা তৈরি করেছে। প্রাথমিক শিক্ষকেরা ১০ম গ্রেড বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশন ও ধরণা কর্মসূচি চালাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন ১ জানুয়ারি থেকে লং মার্চ ও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।










































