কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছে ৬ জন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রতনপুর নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে চারজনের নামে একটি মামলা করেন পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি দল সাজাপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে সাগরকে রতনপুর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসামির বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে এএসআই আশরাফুল ইসলামের নাক ফেটে যায় এবং আসামিকে বেধড়ক মারধর করে থানায় নেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে ১০-১২টি মটরসাইকেলে করে ২০-২২ জনের একটি পুলিশের দল পুনরায় ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া অকথ্য গালিগালাজ ও নিরীহ জনসাধারণকে মারধর করে। এতে আহত হয় জাকির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম তারেক ও সৈয়দ আলী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের।
রৌমারী থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামানের মোবাইলে কল করলে তিনি বলেন, আমি রংপুরে আছি, আপনি এসআই আনছার আলীর সঙ্গে কথা বলেন।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনছার আলী বলেন, রতনপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে সাগর একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মাদক মামলা এবং হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় আসামির স্বজনরা। এতে এএসআই আশরাফুল ইসলামের নাক ফেটে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |