
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) তিনির ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন তা হুবহু তুলে ধরা হলঃ-
পুরোনো রাজনৈতিক বয়ান আর কাজ করবে না বাংলাদেশে।
আমি ১৯৮০ থেকে১৯৮৮ পর্যন্ত ছাত্র শিবিরের রাজনীতি দেখেছি।
বয়স এখন ৬৪। বাহ্যিক ভাবে ছাত্র শিবির এবং জামায়েত ইসলাম এর রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন কোন পর্যায়ে এসেছে তা ডাকসু নির্বাচন এ দেখলাম।
এর জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেগেটিভ রাজনীতি অনেকটা দায়ী। লুটপাট, চাঁদাবাজি , দাম্ভিকতা, একই ন্যারেটিভ কাজ করবে না।
সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক ভিত্তি, নৈতিক চরিএ ভালো এবং এন্টি ইন্ডিয়ান রাজনীতি এই জেনারেশন পছন্দ করছে।
রাজনৈতিক স্ট্রেটেজি, সমালোচনার ধরন বস্তুনিষ্ঠ ও জন প্রত্যাশার সাথে মিলতে হবে।
কঠিন চারিত্রিক দৃঢ়তা, সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কার্যক্রম, জনবান্ধন কাজ দিয়েই আগামীর রাজনীতি না করলে প্রগতিশীলতার মৃত্যু হবে।
ছাত্রশিবিরের উত্থান বাংলাদেশ রাজনীতিতে কয়েকটি কারণে হয়েছে
১. ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রভাব: জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন হিসেবে এটি গড়ে ওঠে। স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক ইসলামকে পুনরায় শক্তিশালী করার প্রক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরের উত্থান ঘটে।
২. ছাত্ররাজনীতির শূন্যতা: স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগ ও অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ভেতরে বিভাজন দেখা দেয়। সেই সুযোগে ছাত্রশিবির সংগঠিত হয়ে মাঠ দখল করে।
৩. সংগঠনের কৌশল: ছাত্রশিবির খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ ও কাঠামোগতভাবে কাজ করত। নিয়মিত সভা, প্রশিক্ষণ, আদর্শভিত্তিক কর্মসূচি—এসবের মাধ্যমে তারা দ্রুত প্রসার লাভ করে।
৪. রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়: সামরিক শাসনের সময় এবং কিছু গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেও ছাত্রশিবির রাষ্ট্রীয়ভাবে সুবিধা পেয়েছিল, যা তাদের শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।
৫. আদর্শিক আকর্ষণ: ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী কিছু ছাত্রদের কাছে এটি বিকল্প রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।