পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম তার মাকে নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বলেন, মায়ের মত আপনজন এই পৃথিবীতে কেউ নাই।
ওই পোস্টে মনিরুল ইসলাম লিখেন, ‘২৩ ডিসেম্বর সারাদিন অফিসে সীমাহীন ব্যস্ততা শেষে আনুমানিক রাত ৯.৩০ টার দিকে ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে ঢুকলাম। কেবিনে ঢুকে দেখলাম মা বিছানায় অচেতন।
ঐদিনই ডায়ালিসিস করানো হয়েছে, হাত-পা অনেকটা ফুলে গেছে। মাকে অন্যান্য দিনের মতই হাত-পা স্পর্শ করে ‘মা’ বলে ডাকলাম, মা খুব কষ্টে কোনোমতে সাড়া দিলেও চোখ খুলে তাকায়নি। নভেম্বরের ১১ থেকেই মা হাসপাতালে, মাঝখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে কয়েকদিন কেটেছে। গত কয়েকবছরে করোনার আগে পরে অনেকবারই মাকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। কিন্তু এবার হাসপাতালে ভর্তির তিন/চার দিন পর থেকেই মা হারানোর একটা আশঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন সময় কাটাতে হয়েছে। সকালে বাসা থেকে হাসপাতাল, তারপর অফিস এবং অফিস শেষে হাসপাতাল হয়ে বাসায় ফিরতাম।
২৩ তারিখ হাসপাতাল থেকে ফেরার সময়ে ইনটুইশান বলছিলো যে দুই এক-দিনের মধ্যেই মা চলে যাবে। সেই রাতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লেও বারবার অজানা আশঙ্কায় ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল। খুব ভোরে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। মা ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরবেলায় আমাদেরকে ছেড়ে চিরতরে চলে যায়। আজ সেই ২৪ ডিসেম্বর। ২০২১ থেকে ২০২৪-তিন বছর কেটে গেল।
আমাদের এলাকার বহুসংখ্যক ছেলেমেয়ের আরবী ও বাংলা শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছে আমার মায়ের কাছে। তাদের কেউ কেউ আলেম হয়েছে পরবর্তীতে। বহু মানুষ আমার মায়ের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে। তাদের দোয়ার বরকতে মা নিশ্চয়ই ওপারে ভালো আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। যাদের মা-বাবা বেঁচে আছে, তারা সত্যিকার অর্থেই ভাগ্যবান। মায়ের মত আপনজন এই পৃথিবীতে কেউ নাই।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |