বিনোদন: ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকার সময় টিকটকে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শামীম মাদবরের। এরপর পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালো লাগা আরও গভীর হতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী বর শামীমকে বিয়ে করতে চলে আসেন বাংলাদেশে শামীমের গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে পার্লারে বিয়ের সাজ সাজতে গিয়ে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবচর পৌর এলাকার ‘পাকিস্তানি বিউটি পার্লার’ নামের একটি পার্লারে গেলে সাজগোজের সময় তার আইফোনটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় শিবচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, প্রেমের টানে শিবচরের শামীম মাদবরকে বিয়ে করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইফহা। শুক্রবার সকালে বিয়ের জন্য সাজতে শিবচর পৌর এলাকার ‘পাকিস্তানি বিউটি পার্লার’ নামে পার্লারে সাজগোজ করতে আসেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী। নিজের আইফোন ফিফটিন প্লাস মডেলের ফোনটি একটি টেবিলের ওপর রাখেন তিনি। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি।
তরুণীর স্বামী শামীম মাদবর বলেন, ‘সকালে শিবচরের স্বর্ণকার পট্টির পাকিস্তানি বিউটি পার্লারে সাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইফহাকে। পার্লারের ভেতরে সাজের সময় ফোনটি চুরি হয়। পরে সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত এক নারী পার্লারের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ফোনটি নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়। এটি খুবই দুঃখজনক। পার্লারে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পরে আমরা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।’
পাকিস্তানি বিউটি পার্লারের সত্ত্বাধিকারী রেশমা আক্তার বলেন, ‘আমার পার্লারে সারাক্ষণই কাস্টমার থাকেন। ওই বিদেশি তরুণীর সঙ্গে আরও কয়েকজন সাজের জন্য আসে। ফোনটি সারাক্ষণই তার হাতে ছিল। সাজ শেষে তিনি ফোনটি নিয়ে দরজার কাছের টেবিলের ওপর রেখে নাকফুল পড়তে গেলে ওই সময়ই বোরকা পরা নারী এসে ফোনটি নিয়ে বেরিয়ে যায়। তখন আমি আরেকটি কাজ করছিলাম। আমরা সব সময় মালামাল নিজেদের সঙ্গে রাখতে বলি।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা তদন্ত করছি।’ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কেশবপুর গ্রামের লালমিয়া মাদবরের তৃতীয় সন্তান সিঙ্গাপুর যান ভাগ্য বদলাতে। সেখানে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ইফহার সঙ্গে। মা-বাবা ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করলেও ইফহা সিঙ্গাপুরে অনলাইনে কসমেটিকসের ব্যবসায়ী। গত দুবছর তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ইউটিউবে বাংলাদেশে বিয়ের ধরণ পছন্দ হওয়ায়, তারা বাংলাদেশে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উভয় পরিবারই বিয়ের শুরুতে অসম্মতি জানালেও, তাদের প্রেমের টানের কাছে হেরে যান।
বিয়ের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন শামীম মাদবর। আর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। গত বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ ও শুক্রবার শামীমের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে সম্পন্ন হয়। এ দিকে বিদেশি তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। বৌভাত অনুষ্ঠানে প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজন করা হয়। বিদেশি তরুণীর সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |