
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে এখনো সব আসনে ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন- ইসিপি। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, এখনো ৭টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি। ঘোষিত ফলাফলে সর্বোচ্চ ১০২টি আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৫টি। নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ ৭৩টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে, আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি। তারা পেয়েছে ৫৪টি আসন।
পাকিস্তানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরাসরি সরকার গঠন করতে পারে না। এ জন্য বিজয়ী হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে হবে তাদের। তাই পাকিস্তানে পরবর্তী সরকার গঠন কারা করছে- সেই সমীকরণ এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ব্যারিস্টার গওহর দাবি করেছেন তারাই পাকিস্তানে পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে
পিটিআইয়ের এ নেতা নির্বাচনে ১৭০ আসনে জয়ী হওয়ার দাবি করেছেন। সেই সাথে অভিযোগ করেছেন, অন্তত ২২টি আসনে তাদের জেতা প্রার্থীকে পরাজিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে কথা বলেন গওহর খান।
এদিকে কিভাবে পাকিস্তানে পরবর্তী সরকার গঠিত হতে পারে- তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। দেশটির গবেষক জাইঘাম খান জানিয়েছেন, পিটিআইকে বাদ দিয়ে অন্যরা সরকার গঠন করলে– বেশির ভাগ পাকিস্তানি তাকে বৈধ মনে করবেন না। তাতে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক জাইঘাম বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে দুটি সম্ভাব্য উপায়ে দেশটিতে সরকার গঠিত হতে পারে। সরকার গঠনের প্রথম উপায়টি হলো- পিটিআইকে বাদ দিয়ে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি, নওয়াজের মুসলিম লীগ, এমকিউএম, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্যরা জোট গঠন করতে পারে।
এই বিশ্লেষক বলেন, দ্বিতীয় উপায়টি হলো- পিপিপি ও পিটিআইয়ের জোট সরকার। তবে এর সম্ভাবনা কম। যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিপিপিকে সমর্থন দেন তবে এটি সম্ভব। জাইঘাম আরও বলেন, এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তাই যারা সরকার গঠন করুক না কেন, জনগণ তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখবে না।
এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, জোট গঠনের ব্যাপারে পিপিপির সঙ্গে পিএমএল-এন, পিটিআই বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।