স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা: পাইলস বর্তমান সময়ের অন্যতম পরিচিত রোগের মধ্যে একটি। পাইলস হলে মূলত জিবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ যার প্রভাব পরে পুরো শরীরের ওপর। পছন্দের কোনো খাবার খেতে তখন ভয় লাগে, এমনকী ভয় লাগে মলত্যাগ করতে গেলেও। মূলত আমাদের কিছু কিছু ভুল অভ্যাসের কারনেই এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। সেসব অভ্যাস বাদ দিতে পারলে পাইলস থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। জেনে নেয়া যাক পাইলস হওয়ার অন্যতম ৫ কারণ:
কোষ্ঠকাঠিন্য: এমন অনেকেই আছেন যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। মলত্যাগে সমস্যা হলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। মল শক্ত হলে ভেতরের মাংসপেশী ফুলে যেতে থাকে। এরপর ছিঁড়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় পাইলস। তাই এমন সব খাবার খেতে হবে যা মল নরম রাখে। শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। ফলে কমবে পাইলসের ভয়ও।
অযথা চাপ দিয়ে মলত্যাগের অভ্যাস: অনেকই আছেন যারা মলত্যাগের চাপ না এলেও জোর করে চাপ দিয়ে মলত্যাগ করেন। এটি মোটেও ভালো কোনো অভ্যাস নয়। কারণ এই অভ্যাসের ফলে চাপ পড়ে মলদ্বারের ভেতরে। সেখান থেকেই বাড়ে জটিলতা। তাই মলত্যাগের সময় স্বাভাবিক থাকুন। অযথা চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপনার কোনো ভুল অভ্যাস যেন পাইলসের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
লিভারের দিকে খেয়াল রাখুন: বর্তমানে লিভারের অসুখে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগ মানুষই নিজের যত্নের প্রতি উদাসীন। ফ্যাটি লিভার থেকে সেই সমস্যা গড়াচ্ছে লিভার সিরোসিসের দিকে। লিভার সিরোসিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে পাইলসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন।
ফাস্টফুড কিংবা জাঙ্কফুড: দ্রুত ক্ষুধা মেটাতে বেশিরভাগ মানুষ এখন ঝুঁকছেন জাঙ্কফুডের দিকে। এ ধরনের খাবারে থাকে অতিরিক্ত তেল-মসলা। সেইসঙ্গে ক্যালোরিরও থাকে অনেক বেশি। এ ধরনের খাবারে কোনো পুষ্টি উপাদান থাকে না বললেই চলে। ফাইবারও থাকে খুবই কম। যে কারণে মল শক্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেবেই। সেখান থেকে হবে পাইলস। তাই শুরু থেকেই সচেতন হোন। তাই ক্ষুধা পেলেই বাইরের খাবার নয়। ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান।
রেডমিট: সব মাংসেরই নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে রেডমিট স্বাস্থ্যের জন্য কিছু অপকারিতাও যোগ করতে পারে। এর ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত রেডমিট খেলে পেটের নানা সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই পাইলস থেকে বাঁচতে রেডমিট খাওয়া কমিয়ে আনুন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |