
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে অস্থিরতা ও সহিংসতা ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কখনো প্রকাশ্যে, আবার কখনো নেপথ্যে থেকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যানুসারে, আওয়ামী লীগের পলাতক ‘গডফাদার’ নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই স্বাভাবিক থাকতে দেওয়া যাবে না এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার সুযোগ নিতে হবে। এই নির্দেশের পর দলীয় কর্মীরা এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন এবং বড় ধরনের নাশকতার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে, তারা যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলনে আন্দোলনকারী সেজে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।
সূত্র বলছে, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালাচ্ছে নানা ধরনের অপপ্রচার। কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষকে উসকে দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন ৮০ জন। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন। সেখানেও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢুকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার স্লোগানও দেন।
এর আগে ‘টুঙ্গিপাড়ায় কবর ভাঙা হবে’-এমন অপপ্রচার চালিয়ে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে সহিংসতা ঘটিয়েছে দলটি। এছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি বলে বিবেচিত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কয়েকদিন ধরে যে অনৈক্য তৈরি হয়েছে, এ সুযোগটিকেও নিজেদের মোক্ষম অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে কার্যত নিষিদ্ধ ওই দলটি।
এভাবে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ঢুকে পড়া, জনমনে ক্ষোভ উসকে দেওয়া; ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে স্পর্শকাতর প্রসঙ্গে গুজব কিংবা অপপ্রচার চালানোর নির্দেশ রয়েছে পতিত দলটির শীর্ষপর্যায় থেকে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বুধবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের অপশক্তি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সাম্প্রতিককালে মাইলস্টোন এবং সচিবালয়ের ঘটনায় আমরা ছাত্রলীগের পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছি। সচিবালয়ে যিনি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার স্লোগান দিয়েছিলেন, তাকে কিছুক্ষণ আগে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি। তার নাম শাকিল মিয়া শাক্কু। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মঙ্গলবার তিনি সচিবালয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভালো ছিলেন, আমরা তাকেই ফিরিয়ে আনতে চাই।’ আইজিপি বলেন, অপকর্মে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না। ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে অপশক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনছি। ইতোমধ্যে বেশকিছু গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার উত্তরার দিয়াবাড়ি এবং সচিবালয়ের ঘটনায় পরাজিত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটলে মঙ্গলবার সকালে দিয়াবাড়ির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ অন্যরা। এ সময় শতাধিক পুলিশ সদস্যসহ তাদের প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সরকার। একই সঙ্গে তাদের বাকি দাবিগুলো বিশ্লেষণে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেয়। এরপর অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয় আসিফ নজরুলদের। অনেকটা জিম্মি করে এ দাবি আদায়ের পেছনে পরাজিত শক্তির হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, ‘লাশ গুম করা হচ্ছে’-এমন গুজবও ছড়িয়েছে আওয়ামীচক্র।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আবার ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মতবিনিময় সভায় ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে বিএনপি পুনরায় সরকারকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এদিন দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাই-আগস্টের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে জাতীয় স্বার্থের জায়গায় যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আমরা যারা একসঙ্গে শেখ হাসিনার পতন চেয়েছি, দিনের পর দিন রাজপথে আন্দোলন করেছি, তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দূরত্ব বাড়ছে। যার সুযোগ নিচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে গত এক বছরে বর্তমান সরকার জনমনে আস্থা অর্জন করতে পারেনি, অপ্রিয় হলেও এটি সত্য। সরকার, আইনপ্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, আমলাতন্ত্রের দাপট ঠেকাতে না পারারও সুযোগ নিচ্ছে পতিতরা। তিনি বলেন, সমাজে অশান্তি, অস্থিরতা, অরাজকতায় সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তুলতে চেষ্টা করছে।
তিনি বলছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-আওয়ামী লীগ যে কোনো মূল্যে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাই এ অবস্থায় রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ চোরাগোপ্তা পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তারা নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করলে এই সংকট কেটে যাবে।
পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির অপতৎপরতার বিষয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত ককটেলসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতার মেহেদী হাসান ফাহিম ও আরিফুর রহমান রাজা পুলিশকে জানিয়েছে, সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা গুলিস্তানসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছিল। এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় সচিবালয়ের সামনে ‘শেখ হাসিনা আসবে’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হলেও স্লোগানদাতাদের আটক করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, দিয়াবাড়িতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ অন্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির উসকানি ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ছাত্রদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছি। আমরা ধৈর্য ধরে মিউচ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখন আমরা খতিয়ে দেখব। সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করব।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, দিয়াবাড়িতে উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ করে রাখার সময় ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে ফ্যাসিবাদী চক্রের অবস্থান ছিল। পতনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব দোসর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের একজনকে আমরা দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি। কারণ, তার নামে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার মামলা আছে। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম রিয়াজ।
সূত্র জানায়, কেবল দিয়াবাড়ি বা সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ঘটনাই নয়; নানাভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি। ২০ জুলাই রাজধানীর শ্যামপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী সিয়াম সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাফসান নামে অপর এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে বাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এর আগে ১৮ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার শুক্কর, জিহাদ, রাহিম ও সুমন পুলিশকে জানায়, ছাত্রদলের একটি মিছিলে নাশকতার উদ্দেশ্যে তারা অস্ত্র-বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস। বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি এ অনুরোধ করেন। মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের এই শিক্ষিকা বিমান বিধ্বস্তের সময় নিজেও আগুনে আটকা পড়েছিলেন। পূর্ণিমা দাস লিখেছেন, ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।’ লাশ নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সেই শিক্ষিকা।
ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লিতে পালিয়ে যান তিনি। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার আগে-পরে তার আত্মীয়স্বজন, দলের শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমনকি সংসদ-সদস্যরাও দেশ ছাড়েন। বাকিরা যে যার মতো দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে আছেন। তবে পলাতক অবস্থায়ও বসে নেই পতিত আওয়ামী লীগের নেতারা।
শেখ হাসিনা নিজেই নিয়মিত অডিও বার্তা দিচ্ছেন। আত্মগোপনে থাকা কর্মীদের সাহস জোগাচ্ছেন। তিনি ‘অচিরেই দেশে ফিরবেন’-এমন ঘোষণা দিয়ে তাদের মাঠে নামার নির্দেশ দিচ্ছেন। দিল্লিতে বসেই হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিদেশবিভুঁইয়ে বিলাসী জীবনযাপন করা নেতাদের কথায় দেশে থাকা নেতাকর্মী-সমর্থকরা রাজনীতির ফাঁদে পা দিয়ে হুটহাট মাঠে নামছেন, রাজপথে ঝটিকা মিছিল করছেন। তবে পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কঠোর পদক্ষেপে তারা এখন পর্যন্ত খুব একটা সফল হতে পারেননি।
এ অবস্থায় রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। যদিও আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড এখন নিষিদ্ধ। এছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকেও। তবুও বসে নেই তারা, নানা উপায়ে দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে নিত্যনতুন পথ বেছে নিচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুতরা।