প্রচ্ছদ রাজনীতি বৈষম্য যখন ছিল জামায়াত হাসপাতালে ঢুকতে পারেনি! পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে বৈষম্য নিপাত...

বৈষম্য যখন ছিল জামায়াত হাসপাতালে ঢুকতে পারেনি! পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে বৈষম্য নিপাত যাক

সারাদেশ: পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে বৈষম্য নিপাত যাক। এইতো কিছুদিন আগেও আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফাঁসি, মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা জেল আদালত হাসপাতালে সময় পার করতে হয়েছে বছরের পর বছর। বাসা বাড়িতে রাত্রি কি দিনে ও যেতে পারেননি এমন রয়েছেন হাজারে হাজার নেতা কর্মী, এমনকি নিজ জন্মস্থানে/এলাকায় যেতে পারেননি অনেকে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান পালিয়ে গিয়ে নিজেদের আওয়ামীলীগ দলের আত্মহত্যার শামিল করার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন সহ চারিদিকে পরিবর্তনের হাওয়া দেখা যাচ্ছে। যা ছিল দেশের সাধারন ছাত্র জনতার চাওয়া। কয়েকশত তাজা প্রাণ দিয়ে যারা এই দেশে পরিবর্তন এনে দিয়েছে তারা অমর হয়ে থাকবেন। আহতরা আমাদের জাতীয় বীর। সরকার  নিহতদের পরিবার ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে এইটা সময়ের দাবি। 

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত দেখতে নিহতদের পরিবারের পাশে প্রতিদিন দাঁড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা। প্রতিদিন কোন না কোন হাসপাতালে রোগীদের দেখতে যাচ্ছেন জামায়াতের আমির সহ কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা। তবে এখানে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন সাধারন জনতার নজরে এসেছে যে জামায়াতের নেতা কর্মীরা আহত হলে বা চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে ভয় পেতেন অনেকটা লুকিয়ে চিকিৎসা নিতেন। সেই জামায়াতের নেতা কর্মীরা যখন হাসপাতালে রোগীদের দেখতে খোঁজ খবর নিতে যাচ্ছেন তাদেরকে হাসপাতালের সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন সাথে থেকে রোগীদের তথ্য আপডেট দিয়ে সহযোগিতা করছেন। নেটিজেনরা বলছেন এমনি চাই এই দেশ যেখানে থাকবেনা একদলীয় স্বৈরাচার সরকার, থাকবেনা বৈষম্য।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও শহীদ ওমর ফারুক এর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আজ ২১ আগস্ট বুধবার চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং লালখানবাজারস্থ চাঁনমারি রোডের টাংকির পাহাড়ে শহীদ ওমর ফারুক এর বাসায় যান। তিনি শহীদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সমবেদনা জানান।

সাক্ষাত শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আমীরে জামায়াত বলেন, “আপনাদের ছেলেরা একেকজন দ্বীনদার, সৎ, মেধাবী ও চরিত্রবান ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা জীবন দেয়া-নেয়ার মালিক। এখানে চিরস্থায়ী থাকার সুযোগ নেই। তারা যে কাজে শহীদ হয়েছেন, আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন। চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আল্লাহ রহম করুন।

আসমান থেকে বরকতের দরজা খুলে দিন। জুলুম থেকে বাংলাদেশকে চির জীবনের জন্য মুক্ত করুন। মেহেরবানী করে আল্লাহর দ্বীনকে এ জমিনে কায়েম করে দিন। প্রয়োজনে আল্লাহর দ্বীনের জন্য আমাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিন। আল্লাহ শহীদদের পরিবার পরিজন ও আমাদেরকে সুস্থতা দান করুন। বাংলাদেশের জমিনে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো, ইনশাআল্লাহ।”

এদিকে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সকাল ৯:৩০ টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যান। তিনি তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন।


হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আমীরে জামায়াত প্রেস বিফিং-এ বলেন, “অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে একটা পরিবর্তন হয়েছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের শাহাদাত আল্লাহ কবুল করুন, আর যারা আহত হয়েছে তাদেরকে দ্রুত সুস্থ করে দিন। এখানে আহতদের মধ্যে যাদেরকে দেখেছি তাদের প্রত্যেকের মুখে আমরা হাসি দেখেছি। আন্দোলনের জন্য নিজেদের রক্ত দিতে পেরে তারা প্রত্যেকেই গর্বিত। আর হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আহতদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য। আমরা উনাদের কাছে আহতদের আমানত হিসেবে রেখে যাচ্ছি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে আর কখনো যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে। জুলুম নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।”

আমীরে জামায়াতের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।