ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ জানিয়েছেন, তাঁর দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেবেন। তবে বিরোধীদের পদত্যাগের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া ভাষণে এসব তথ্য জানান মাখোঁ।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় দেশটির সরকার ভেঙে পড়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বার্নিয়েকে নিয়োগ দেওয়ার মাত্র তিন মাস পর তাঁকে এই পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে। কারণ সংসদ সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বার্নিয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার এই প্রস্তাব বাম এবং কট্টর ডানপন্থী দলগুলো উত্থাপন করে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিতর্কিতভাবে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে সংসদে বিনা ভোটে বাজেট পাস করিয়েছিলেন বার্নিয়ে।
স্থানীয় সময় বুধবার ফ্রান্সের সংসদের নিম্নকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বার্নিয়েকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তাবটি পাস করতে ২৮৮ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ৩৩১ জন সংসদ সদস্য বার্নিয়ের বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
ফ্রান্সের ইতিহাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার পতনের ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিল ১৯৬২ সালে। কয়েক দশক পরে দেশটিতে ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হলো।
এম পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মাখোঁ বলেন, ‘আগামী দিনে আমি একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করব। যার দায়িত্ব হবে একটি সাধারণ মানুষের সরকার গঠন করে বাজেট পাস করা।’
ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না করা পর্যন্ত অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বার্নিয়ে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |