রাজনৈতিক : গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখান করে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।।
এতে জানানো হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার ও ১০ জানুয়ারি বুধবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত।
এদিকে বিকেলে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আজ জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৫ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা ক্ষমতা প্রলম্বিত করার লক্ষ্যে এবারও ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে।
আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দ্বারা একটি সাজানো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। জামায়াতে ইসলামীসহ প্রায় সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে থাকে।
এ নির্বাচনে জনগণের ৩ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে জনগণের কোনো কল্যাণ হয়নি। এটি কোনো নির্বাচনই নয়। যেহেতু জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, সুতরাং এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আমরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের জনগণ নির্বাচন বর্জন করে ও ভোটদান থেকে বিরত থেকে যে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবেন বলে আমরা আশা করি।
অপরদিকে জামায়াতের সাথেই মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ও পরদিন বুধবার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই প্রথম কর্মসূচি দলটির।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
এসময় তিনি বলেন, রোববার দেশে যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি সরকারের পাতানো ডামি নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রমাণ হচ্ছে যে, সারা দেশে অনেক কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। এমনকি ভোটারও আসেনি। বিরোধী দল না থাকলেও ভোটের হার বাড়ানোর জন্য ভোট কারচুপি করেছে সরকার। এটিই প্রমাণ করে পাতানো ডামি নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়নি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |