
বাইরে সংরক্ষিত আরও ১০০ আসন যুক্ত হবে, যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। বিদ্যমান ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ আসন আগের পদ্ধতিতে থাকুক। বাকি ১০০ আসনে পিআর হোক। এতে আমরা ধীরে ধীরে পিআরের মধ্যে যাব। যাতে পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যা হলেও সেটা সমাধানযোগ্য হয়। পাশাপাশি জাতি ও রাষ্ট্রে এই পদ্ধতি কতটা ইতিবাচক হয়, সেটাও বোঝা যাবে। তবে কোনো না কোনো পর্যায়ে বাংলাদেশে পিআর সংযোজন করতেই হবে। পুরোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো এরই মধ্যে পিআরে যুক্ত হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একই কারণে জাতীয় পার্টিকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন ২০০৮ থেকে পিআর পদ্ধতির আলোচনা করে আসছে। বিশ্বের ৫৪টি দেশে এটি চালু আছে। কোনো দল এটি না বুঝলে তাদের অজ্ঞতা। তাই বলে এই পদ্ধতি নিয়ে বিদ্রুপ করার সুযোগ নেই। যারা পিআরের বিরোধিতা করছে, তারা তাদের স্বার্থ দেখছে। তাহলে অন্যদের দাবিকে কেন নেগেটিভভাবে দেখা হচ্ছে? দুর্বলতাগুলো কীভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বড় কথা হলো—নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতেই হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক বলেন, বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে আলেমরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটায় থাকলে যতই জোট করেন, বেশি আসন পাবেন না। আরও গোলামি করে যেতে হবে। পিআর হলে অনেক বেশি আসন পাবেন। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদকে ফেরার সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারাই আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি দেখাবে, তারাই দেশ এবং গণঅভ্যুত্থানের শত্রু।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেন, পিআর যৌক্তিক। মিক্সড পদ্ধতি আরও যৌক্তিক মনে হচ্ছে। তবে ফ্যাসিবাদ যাতে কোনোভাবে ফিরে না আসে, সেজন্য সবাইকে ঐকমত্য থাকতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো সনদ হয়নি। এটা দুঃখজনক। আমাদের ভাবতে হবে কোন পদ্ধতিতে রাষ্ট্র ভালো চলবে। সেই আলোকে পিআর হতে পারে সবচেয়ে ভালো। আজকে যে পদ্ধতি উত্থাপন করা হয়েছে, মধ্যবর্তী পন্থা হিসেবে এটাও অসাধারণ। তবে আমরা এক দিনে সবটা অর্জন করতে পারব না। ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।